দেশকে এগিয়ে নিতে দেশের আলেম সমাজকে বৃহত্তর ঐক্য গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন জামায়াতের ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।
রবিবার রাজধানীর মিরপুর-১৪ এর একটি রেস্টুরেন্টে জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী উত্তরের উদ্যোগে ঢাকা-১৫ আসনের উলামায়ে কেরাম ও ইয়াতিমদের সম্মানে আয়োজিত ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘এ দেশ মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ হলেও এখানে বিভিন্ন ধর্মের মানুষ বাস করে। তারা সবাই বাংলাদেশের নাগরিক। ছাত্র-জনতার সফল আন্দোলনের মাধ্যমে আমরা একটি নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি।
তারা ধর্ম, বর্ণ ও গোষ্ঠী নির্বিশেষে সবার নিরাপত্তার জন্য সম্মিলিতভাবে কাজ করেছে। বিপ্লবোত্তর অনেক কল্পকাহিনি প্রচার করা হলেও তার ১ শতাংশও বাস্তবায়ন হয়নি। যা কিছু হয়েছে, তা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। আমরা সেই নীতি সমর্থন করি না।’
তিনি দেশ, জাতি ও ইসলামের কল্যাণে আলেমসমাজকে ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন এবং ক্ষুধা, দারিদ্র্য ও বৈষম্যমুক্ত নতুন বাংলাদেশ গড়তে সবাইকে এক মঞ্চে আসার আহ্বান জানান।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, দ্বীনই আমাদের জীবনের উদ্দেশ্য। দেশে দ্বীনের শিক্ষা যত বিস্তৃত হবে, সমাজ ততই আলোকিত হবে। আর দ্বীনের শিক্ষা সংকুচিত হলে নেমে আসবে অন্ধকার। এর প্রকৃষ্ট উদাহরণ হলো আওয়ামী লীগের প্রায় ১৬ বছরের অপশাসন ও দুঃশাসন। এ সময় দেশবরেণ্য আলেম-উলামাদের সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে কারারুদ্ধ করে নির্মম নির্যাতন চালানো হয়েছে। তাঁদের হাতে হ্যান্ডকাফ এবং পায়ে ডান্ডাবেড়ি পরানো হয়েছিল, অথচ চোর, ডাকাত, অপরাধী ও সমাজবিরোধীরা নির্বিঘ্নে দাপিয়ে বেড়িয়েছে।
নিজের গ্রেফতারের দুঃসহ স্মৃতিচারণা করে তিনি বলেন, ‘আমাকে গভীর রাতে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। যদিও আয়নাঘরে রাখা হয়নি, তবু আমি তা অনুভব করেছি। আমাদের এমনভাবে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল, যেন কোনো ভয়ংকর অপরাধীকে ধরা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমির মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে এবং কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের নায়েবে আমির আব্দুর রহমান মূসা, ইঞ্জিনিয়ার গোলাম মোস্তফা, কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও মহানগর উত্তরের সহকারী সেক্রেটারি মাহফুজুর রহমান, নাজিম উদ্দিন মোল্লা, ডা. ফখরুদ্দিন মানিক, ইয়াসিন আরাফাত প্রমুখ।