সোমবার

,

১২ই মে, ২০২৫

চীনের সঙ্গে বাণিজ্য আলোচনায় ‘বিশাল অগ্রগতির’ খবর দিলেন ট্রাম্প

নিজস্ব প্রতিবেদক
ছবি: সংগৃহীত

আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, সুইজারল্যান্ডে চীনা প্রতিনিধিদের সঙ্গে তার দলের একটি ‘খুব ভালো বৈঠক’ হয়েছে। এতে দুই দেশের মধ্যকার বাণিজ্য সম্পর্কের ‘পুরোপুরি নতুন যাত্রা’ অর্জিত হয়েছে।

শনিবার জেনেভায় এই বৈঠক শুরু হয়। আমেরিকার প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন ট্রেজারি সেক্রেটারি স্কট বেসেন্ট এবং বাণিজ্য প্রতিনিধি জেমিসন গ্রিয়ার। চীনের পক্ষে প্রতিনিধিত্ব করেন ভাইস প্রিমিয়ার হে লিফেং। এই আলোচনার প্রেক্ষাপট ছিল শুল্ক নিয়ে সাম্প্রতিক বাণিজ্য উত্তেজনা। রবিবার আবার আলোচনা শুরু হওয়ার কথা রয়েছে বলে জানিয়েছে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল।

শনিবার রাতে ট্রাম্প তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে লিখেছেন, চীনের সঙ্গে সুইজারল্যান্ডে খুব ভালো বৈঠক হয়েছে। অনেক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে, অনেক বিষয়ে একমত হওয়া গেছে। বন্ধুত্বপূর্ণ কিন্তু গঠনমূলক পরিবেশে একটি নতুন যাত্রা শুরু হয়েছে। আমরা চাই- চীন যেন আমেরিকান ব্যবসার জন্য উন্মুক্ত হয়। বিশাল অগ্রগতি হয়েছে।

আলোচনার আগে ট্রাম্প বলেন, চীনা পণ্যের উপর শতকরা ৮০ ভাগ শুল্ক সঠিক মনে হচ্ছে। হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, আলোচক দল ট্রাম্পের পূর্ণ সমর্থন নিয়ে অংশ নিয়েছে এবং আমেরিকার জন্য সর্বোত্তম চুক্তি আদায় করাই তাদের উদ্দেশ্য।

বৈঠকের পর কোনো পক্ষই আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেয়নি এবং আলোচনার নির্দিষ্ট বিষয়বস্তু জানানো হয়নি।

বেইজিং বলেছে, ওয়াশিংটনের শুল্ক ব্যবস্থার দৃঢ় বিরোধিতা তারা করে এবং এরকম ইঙ্গিত দিয়েছে যে সহজে তারা আপস করবে না।

আমেরিকা চীনা পণ্যের উপর সর্বোচ্চ শতকরা ১৪৫ ভাগ শুল্ক আরোপ করেছিল। এর জবাবে চীনও আমেরিকান পণ্যের উপর শতকরা ১২৫ ভাগ পর্যন্ত পাল্টা শুল্ক বসায়।

দুই দেশের পাল্টাপাল্টি উচ্চ শুল্কে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের পরিমাণ ব্যাপকভাবে কমে গেছে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

বিশ্লেষকরা বলছেন, বাস্তবতা হলো, আমেরিকানরা যে বিপুলসংখ্যক চীনা পণ্যের ওপর নির্ভরশীল, শুধু এ কথা বলাটাই যথেষ্ট নয়। তাঁদের দৈনন্দিন জীবনে এসব পণ্যের প্রভাব কতটা ব্যাপক, এই কথা দিয়ে তা বোঝানো সম্ভব নয়।