কীর্তিমান সংস্কৃতিজন সন্জীদা খাতুনকে স্মরণ করেছে তাঁর স্মৃতিধন্য কয়েকটি সংগঠন। শুক্রবার সন্ধ্যায় প্রয়াত এই রবীন্দ্র গবেষক, সংগীতজ্ঞ, সাংস্কৃতিক আন্দোলনের অগ্রণী ব্যক্তিত্ব ও লেখককে গানে, কবিতায় ও নাচের মাধ্যমে স্মরণ করা হয়।
ঢাকার ধানমণ্ডির ছায়ানট মিলনায়তনে বাঙালি সংস্কৃতি বিকাশের অন্যতম পুরোধা, বিশিষ্ট সংগীতজ্ঞ ও ছায়ানটের প্রতিষ্ঠাতা সন্জীদা খাতুনের প্রয়াণের মাসপূর্তিতে তাঁর স্মরণে ছায়ানট আয়োজন করেছে ‘তোমায় নতুন করে পাব ব’লে’। নালন্দা উচ্চবিদ্যালয়, কণ্ঠশীলন ও ব্রতচারী অনুষ্ঠানটি যৌথভাবে আয়োজন করে।
শুরুতে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করা হয় সন্জীদা খাতুনকে। সমবেত কণ্ঠে গাওয়া হয় ‘কোন আলোতে প্রাণের প্রদীপ জ্বালিয়ে/তুমি ধরায় আসো’। সেই সুরের আবেশে পরিবেশিত হয় বৃন্দ নাচ।
ছায়ানটের ট্রাস্টি ও নির্বাহী সভাপতি ডা. সারওয়ার আলী সন্জীদা খাতুনের বর্ণাঢ্য জীবন ও কর্মকে গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন।
পরে সম্মেলক কণ্ঠে গাওয়া হয় ‘পান্থ তুমি, পান্থজনের সখা হে’।
পরিবেশিত হয় সন্জীদা খাতুনের কণ্ঠে ধারণকৃত গান ‘এখনো গেল না আঁধার’। মুগ্ধতায় শ্রোতারা শুনেছেন সন্জীদা পরিবেশিত সংগীত ‘আমি গগন গহনে সন্ধ্যাতারা’র রেকর্ড।
তাঁর লেখা প্রবন্ধ থেকে পাঠ করেন বাচিক শিল্পী ভাস্বর বন্দ্যোপাধ্যায়।
এরপর বক্তব্য দেন ছায়ানটের উপদেষ্টা মফিদুল হক।
তানিয়া মান্নান ‘মালা হতে খসে পড়া’, রোকাইয়া হাসিনা নীলি ‘আরো আরো প্রভু’, মহিউজ্জামান চৌধুরী ‘যেতে যেতে একলা পথে’ গেয়েছেন।
সন্জীদার ‘স্বাধীন বাংলাদেশের সংস্কৃতিভাবনা’ প্রবন্ধ পাঠ করেন সুমনা বিশ্বাস। খায়রুল আনাম শাকিল ‘পাষাণের ভাঙালে ঘুম’ ও ইফ্ফাত আরা দেওয়ান ‘তোমারই তুলনা তুমি প্রাণ’ শুনিয়েছেন।