সাম্প্রতিক সময়ে টেসলার মুনাফা ও আয় দুটোই কমেছে। এ পরিস্থিতিতে ট্রাম্প প্রশাসনে নিজের দায়িত্ব কমানোর কথা বলেছেন টেসলাপ্রধান ইলন মাস্ক। বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফেরাতেই মঙ্গলবার এমন প্রতিশ্রুতি দিলেন তিনি।
মঙ্গলবার টেসলা কর্তৃপক্ষ বলেছে, গত বছরের তুলনায় ২০২৫ সালের প্রথম ত্রৈমাসিকে বৈদ্যুতিক গাড়ি বিক্রি থেকে তাদের আয় ২০ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। মুনাফা কমেছে ৭০ শতাংশের বেশি।
এদিকে ট্রাম্পের নতুন প্রশাসনেও মাস্কের ভূমিকা নিয়ে মানুষের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
ফলে টেসলাপ্রধান প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, আগামী মাস থেকেই নিজের কার কোম্পানিতে বেশি সময় দেবেন। যাতে করে খুব দ্রুত ঘুরে দাঁড়াতে পারে টেসলা।
প্রতিষ্ঠানটির সাম্প্রতিক এই পতনে মাস্ক নিজেও স্বীকার করেছেন, প্রতিষ্ঠানটির ওপর থেকে তাঁর মনোযোগ সরে গেছে।
ট্রাম্পের নির্বাচনী তহবিলে ২৫ কোটি ডলারের বেশি অর্থ দিয়েছিলেন মাস্ক। প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর ট্রাম্প তাঁর সরকারি দক্ষতা বিভাগের (ডিওজিই) দায়িত্ব দেন মাস্ককে। ডিওজিই আমেরিকার ফেডারেল সরকারের ব্যয় ও জনশক্তি কমানোর লক্ষ্যে কাজ করছে।
মাস্কের রাজনীতিতে সরাসরি জড়িত হওয়ার পর থেকে বিশ্বজুড়ে বিক্ষোভ এবং টেসলাকে বর্জনের ডাক উঠেছে।
এছাড়া ট্রাম্প প্রশাসনের কয়েকজনের সঙ্গে মাস্কের বিরোধও এখন প্রকাশ্য।
সম্প্রতি দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল ইলন মাস্কের স্ত্রী এবং সন্তান প্রতিপালন নিয়েও প্রশ্ন তোলে। ঘরে-বাইরে বিতর্কের রেশের পাশাপাশি ব্যবসায়িক সাম্রাজ্যও যখন ছোট হয়ে আসছে, তখন যেন হুশ আসতে শুরু করেছে মাস্কের।
টেসলায় আত্মনিয়োগে ইলন মাস্কের ঘোষণার পর পরই ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে কোম্পানিটির শেয়ার মূল্য।