করদাতাদের অর্থ অপচয় কমানোর অযুহাতে এবার স্টেট ডিপার্টমেন্টের শতাধিক অফিস বন্ধের পরিকল্পনা করছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
দেশটির কূটনীতিকদের মধ্যে প্রচারিত ট্রাম্প প্রশাসনের একটি খসড়া নির্বাহী আদেশে আমেরিকার স্টেট ডিপার্টমেন্টের আমূল পুনর্গঠনের প্রস্তাব করা হয়েছে।
ব্লুমবার্গের মতে, যদি এই পরিবর্তনগুলি কার্যকর করা হয়, তাহলে ১৭৮৯ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে এটি বিভাগের সবচেয়ে বড় পুনর্গঠনগুলির মধ্যে একটি হবে।
রয়টার্স জানায়, জলবায়ু, শরণার্থী, মানবাধিকার, গণতন্ত্র এবং লিঙ্গ সমতা রক্ষায় কাজ করা কয়েকটি অফিসসহ শতাধিক অফিস বন্ধ করে দেওয়ার একটি প্রস্তাব কংগ্রেসকে অবহিত করেছেন ট্রাম্প প্রশাসন।
প্রস্তাবে স্টেট ডিপার্টমেন্টের ৭৩৪টি ব্যুরো ও অফিসের মধ্যে ১৩২টিকে বাদ দেওয়ার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
বলা হয়েছে, ট্রাম্পের ‘অ্যামেরিকা ফার্স্ট’ নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে স্টেট ডিপার্টমেন্টে বড় ধরনের পরিবর্তন আনছে বর্তমান প্রশাসন।
নথিতে আরও বলা হয়, আন্ডার সেক্রেটারিরা কর্মীর সংখ্যা ১৫ শতাংশ কমানোর পরিকল্পনা জমা দেবেন।
এ পরিবর্তনের ফলে ঠিক কতজন কর্মী ছাঁটাই হবেন, তা এখনো স্পষ্ট হয়নি, তবে ফ্রি প্রেসের একটি প্রতিবেদনে—যেটি স্টেট ডিপার্টমেন্টের সেক্রেটারি মার্কো রুবিও এক্সে শেয়ার করেছেন—বলা হয়েছে, বন্ধ হয়ে যাওয়া অফিসগুলো থেকে অতিরিক্ত ৭০০টি পদ বাতিল করা হবে।
এ রদবদল ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তার উপদেষ্টা ইলন মাস্কের নেতৃত্বে পরিচালিত নজিরবিহীন উদ্যোগের অংশ, যার লক্ষ্য ফেডারেল সরকারের আকার কমানো। তাদের মতে, আমেরিকার করদাতাদের অর্থ অপচয় হচ্ছে।
এ প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে হাজার হাজার সরকারি কর্মীকে এরই মধ্যে ছাঁটাই করা হয়েছে।
স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস মঙ্গলবার জানান, এটি একটি রূপরেখা। পরিকল্পনার পরিবর্তন হতে পারে। কোনো নির্দিষ্ট বিষয়ে কাজ করা একটি ব্যুরো বন্ধ হয়ে যাওয়ার অর্থ এই নয় যে, সে বিষয়ে কাজ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাবে।