হাইতিতে ১০ লাখেরও বেশি শিশু খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার চরম স্তরের মুখোমুখি। বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের শিশু সংস্থা ইউনিসেফ এ সংখ্যার কথা জানিয়েছে।
সংস্থাটির মতে, সশস্ত্র সহিংসতা এবং অর্থনৈতিক পরিস্থিতি হাইতির পরিবারগুলিকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে ঠেলে দিচ্ছে, দুর্ভিক্ষের ঝুঁকি বাড়ছে।
সংবাদ সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, দীর্ঘস্থায়ী সহিংসতা, বাস্তুচ্যুতি এবং মানবিক সাহায্যের সীমিত প্রবেশাধিকারের ফলে হাইতিতে ১০ লাখেরও বেশি শিশু ‘মারাত্মক’ খাদ্য সংকটের সম্মুখীন হচ্ছে।
হাইতিতে ইউনিসেফের প্রতিনিধি গীতা নারায়ণ বলেছেন, ‘আমরা এমন একটি পরিস্থিতির দিকে নজর দিচ্ছি যেখানে চলমান সহিংসতা, চরম দারিদ্র্য এবং ক্রমাগত অর্থনৈতিক সংকটের ফলে বাবা-মায়েরা তাদের সন্তানদের আর যত্ন এবং পুষ্টি দিতে পারবেন না’।
সংস্থাটি হাইতির চিকিৎসা সহায়তা সম্পর্কে জানিয়েছে, ২০২৫ সালের শুরু থেকে, ‘ইউনিসেফ এবং এর অংশীদাররা ৪ হাজার ৬শ’ জনেরও বেশি তীব্র অপুষ্টিতে আক্রান্ত শিশুর চিকিৎসা করেছে’। যা ‘এই বছর জীবন রক্ষাকারী চিকিৎসার প্রয়োজন বলে অনুমান করা ১ লাখ ২৯ হাজার শিশুর মাত্র ৩ দশমিক ৬ শতাংশ।’
আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থাগুলোর ব্যবহৃত সর্বশেষ সমন্বিত খাদ্য নিরাপত্তা শ্রেণি বিভাগ (আইপিসি) অনুসারে, প্রায় ২৯ লাখ শিশু ‘সারা দেশে উচ্চ স্তরের খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার সম্মুখীন হচ্ছে’। যা হাইতির মোট জনসংখ্যার প্রতি চারজনের মধ্যে একজন। পরিবারগুলি খাদ্যের অভাবে তীব্র অপুষ্টির সাথে লড়াই করে চলেছে।
ইউনিসেফ জানিয়েছে, এ অঞ্চলের ক্রমবর্ধমান সহিংসতায় জীবন রক্ষাকারী চিকিৎসাসহ স্বাস্থ্য সেবা থেকে শিশুদের বঞ্চিত করছে। যার ফলে ‘শিশুরা বিভিন্ন ধরণের অপুষ্টি এবং প্রতিরোধযোগ্য রোগের ঝুঁকিতে পড়ছে’।
দেশজুড়ে স্বাস্থ্যসেবা ভঙ্গুর অবস্থার মধ্যে রয়েছে। হাইতির রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্সে, অর্ধেকেরও কম স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্র সম্পূর্ণরূপে চালু আছে। তিনটি প্রধান সরকারি হাসপাতালের মধ্যে দুটি সেবা প্রদানের বাইরে রয়েছে।
ইউনিসেফ উল্লেখ করেছে, ‘চাহিদা তীব্র হচ্ছে, অন্যদিকে তহবিলের ঘাটতির কারণে সেবা প্রদান ক্রমশ সীমিত হচ্ছে’।