ইউরোপীয় ইউনিয়ন বুধবার সাতটি দেশকে ‘নিরাপদ’ বিবেচনা করে একটি তালিকা প্রকাশ করেছে। এই তালিকায় রয়েছে বাংলাদেশ।
ইউরোপীয় কমিশন বলেছে, তারা বাংলাদেশ, কসোভো, কলম্বিয়া, মিসর, ভারত, মরক্কো ও তিউনিশিয়াকে ‘নিরাপদ’ দেশের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে প্রস্তাব দিয়েছে। এতে এসব দেশের মানুষের ইইউভুক্ত দেশগুলোয় আশ্রয় পাওয়া কঠিন হয়ে যাবে। এ ছাড়া এর মাধ্যমে ওই দেশগুলোতে আশ্রয়ে থাকা প্রবাসীদের ফেরানোর পথটিও সহজ করা হবে।
অবশ্য ইইউর এমন উদ্যোগের সমালোচনা করেছে মানবাধিকার সংস্থাগুলো। কারণ ইউরোপীয় দেশগুলোর সরকার এখন আশ্রয় আবেদনগুলো দ্রুত সময়ের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে পারবে।
শরণার্থীবিষয়ক ইইউ কমিশনার ম্যাগনাস ব্রুনার বলেছেন, ‘অনেক সদস্য রাষ্ট্রের অসংখ্য আশ্রয় আবেদন জমা পড়ে গেছে। এগুলো নিয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়াকে আমরা এখন সমর্থন করতে পারি।’
অবৈধ অভিবাসন বন্ধ এবং অভিবাসীদের তাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর জন্য ইইউর ওপর কয়েক বছর ধরেই চাপ বাড়ছে। সেখানকার মানুষের মতে, অভিবাসনের কারণে তাদের দেশে কট্টর ডান রাজনীতি প্রসারিত হচ্ছে।
ইইউ জানায়, তাদের সদস্য হওয়ার জন্য আবেদন করা দেশগুলোও নীতিগতভাবে ‘নিরাপদ’ দেশ হিসেবে বিবেচিত হবে। বাংলাদেশসহ যেসব দেশকে নিরাপদ দেশের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, সেটি সময়ে সময়ে পর্যবেক্ষণ এবং বাড়ানো যাবে।
এই দেশগুলোর বাইরে ইইউর সদস্য রাষ্ট্রগুলো অন্য আরো দেশকেও নিরাপদ হিসেবে ঘোষণা দিতে পারে।
