ইউক্রেনের একটি এফ-১৬ যুদ্ধবিমান গুলি করে ভূপাতিত করেছে রাশিয়ার বাহিনী। মস্কোর প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এর সত্যতা নিশ্চিত করেছে। এ নিয়ে দুইটি এফ-১৬ যুদ্ধবিমানের ক্ষতির কথা জানা গেল।
ইউক্রেনের পশ্চিমা সমর্থকরা দেশটিতে চতুর্থ প্রজন্মের বিমান সরবরাহ শুরু করার পর থেকে এই প্রথমবারের মতো রাশিয়া এ ধরনের যুদ্ধবিমান ধ্বংসের ঘোষণা দিলো।
এর আগে শনিবার ইউক্রেনীয় বিমান বাহিনী তাদের একটি এফ-১৬ যুদ্ধবিমানের ক্ষতির কথা জানায়। বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার কারণ অনুসন্ধানের জন্য একটি আন্তঃবিভাগীয় কমিশনও গঠন করা হয়েছে।
ইউক্রেনের বিমানবাহিনী এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘শত্রুবাহিনীর’ হামলায় বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছে এবং এতে ২৬ বছর বয়সী পাইলট পাভলো ইভানভ প্রাণ হারিয়েছেন। বিবৃতিতে পাইলটদের বীরত্বের কথা উল্লেখ করে বলা হয়, ‘অবিশ্বাস্য কঠিন পরিস্থিতিতেও তারা মিশন পরিচালনা করে এবং লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানে।’ তবে দুর্ঘটনার সুনির্দিষ্ট কারণ বা বিস্তারিত কোনো তথ্য প্রকাশ করা হয়নি।
এদিকে কিয়েভ এই ঘটনার জন্য রাশিয়াকে দায়ী করলেও সামরিক ব্লগাররা বলছেন, এটি ‘ফ্রেন্ডলি ফায়ারের’ ঘটনা হতে পারে।
বিশ্লেষকদের মতে, এফ-১৬ যুদ্ধবিমানগুলো সহজে আক্রমণের শিকার হয় না। তাই এই দুর্ঘটনা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
এটি ইউক্রেনের নিশ্চিত করা দ্বিতীয় এফ-১৬ বিমানের ক্ষতির ঘটনা। গত আগস্টে প্রথমটি ধ্বংস হয়ে যায় এবং এর পাইলট নিহত হন। তবে এই ঘটনার তদন্তের ফলাফল কখনো জনসাধারণের কাছে ঘোষণা করা হয়নি।
আমেরিকার সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কাছ থেকে অনুমতি পাওয়ার পর বেলজিয়াম, ডেনমার্ক, নেদারল্যান্ডস এবং নরওয়ে কিয়েভকে ৮০টি পর্যন্ত এফ-১৬ বিমান সরবরাহ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল।
যদিও এর বেশিরভাগই যেতে কয়েক বছর সময় লাগবে। ২০২৪ সালে ইউক্রেন প্রায় ১৮টি বিমান পেয়েছিল।