রবিবার

,

২৭শে এপ্রিল, ২০২৫

শুল্ক নিয়ে ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলবেন প্রধান উপদেষ্টা

নিজস্ব প্রতিবেদক
ছবি: সংগৃহীত

রপ্তানির ক্ষেত্রে আমেরিকা যে শুল্ক আরোপ করেছে সে বিষয়ে ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে সরাসরি কথা বলবেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এ বিষয়ে তিনি নিজেই বাংলাদেশের অবস্থান তুলে ধরবেন।

শনিবার সন্ধ্যায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় আমেরিকার শুল্ক ইস্যু নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে বৈঠক হয়।

বৈঠক শেষে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা সরাসরি ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন। অধ্যাপক ইউনূসের আন্তর্জাতিক গ্রহণযোগ্যতা ব্যবহার করে আমেরিকার প্রশাসনের কাছে আমাদের অবস্থান তুলে ধরা হবে।’

তিনি বলেন, ঢাকায় আমেরিকার দূতাবাস এবং দেশটির সংশ্লিষ্ট অফিসগুলোর সঙ্গে আমরা যোগাযোগ রাখছি এবং প্রধান উপদেষ্টা নির্দেশনা অনুযায়ী আমাদের অবস্থান তুলে ধরা হবে।

বশিরউদ্দীন জানান, বাংলাদেশের ওপর আরোপিত শুল্ক এবং আমাদের বাণিজ্যের যে ধরন, তাঁর ওপর ভিত্তি করে প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশনায় আমাদের করণীয় নির্ধারণ করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, শুল্ক ছাড়াও আমেরিকায় আমাদের কিছু অশুল্ক বাণিজ্য বাধা রয়েছে, সেগুলোকে আমরা আলোচনার মাধ্যমে দূর করতে চাই।

বাণিজ্য উপদেষ্টা জানান, প্রধান উপদেষ্টার হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ ড. খলিলুর রহমানের আমেরিকার প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে। তাকে কাজে লাগিয়ে এই অশুল্ক বাণিজ্য বাধা দূর করার চেষ্টা করা হবে।

তিনি বলেন, আমরা এখানে সম্ভাবনাও দেখছি। শঙ্কার বিষয়গুলো উপলব্ধি করে বাণিজ্য ঘাটতি কমানো হবে বলে তিনি জানান।

এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আমদানি বৃদ্ধির মাধ্যমে বাণিজ্য ঘাটতি কমানো যেতে পারে। সেক্ষেত্রে সয়াবিন তেল, পোশাক শিল্পের কাঁচামাল, শিল্পের যন্ত্রাংশ, জ্বালানিসহ আরো কিছু পণ্য আমদানির কথা উল্লেখ করেন তিনি।

আমেরিকা শুল্ক বাড়ানোর ফলে সেদেশে বাংলাদেশ থেকে পোশাক রপ্তানি কমে যাওয়ার আশঙ্কা দেখছেন না বলে তিনি উল্লেখ করেন।

প্রধান উপদেষ্টার হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ ড. খলিলুর রহমান জানান, আমেরিকার শুল্ক আরোপের ফলে দুশ্চিন্তার করার কোনো প্রয়োজন নেই।

তিনি বলেন, ট্রাম্প প্রশাসনের কাছে আমাদের অবস্থান তুলে ধরার পর একটা ইতিবাচক সাড়া পাওয়া যাবে বলে আশা করি।

প্রেস বিফ্রিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী এবং প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম উপস্থিত ছিলেন।