এবার বাংলা নববর্ষের শোভাযাত্রা আরো বড় পরিসরে আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
অন্তর্ভুক্তিমূলক মঙ্গল শোভাযাত্রা অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে এবারের পহেলা বৈশাখে চাকমা, মারমা, সাঁওতাল ও গারোসহ বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠী অংশ নিচ্ছে। সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে অনুষ্ঠিত এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বৈচিত্র্যপূর্ণভাবে, লোক-ঐতিহ্য ও ’২৪-এর চেতনাকে ধারণ করে প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘নববর্ষের ঐকতান, ফ্যাসিবাদের অবসান’। ঐতিহ্য ও স্বকীয়তা অব্যাহত রেখে অধিকতর অন্তর্ভুক্তিমূলক করার জন্য সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আহ্বানে সাড়া দিয়ে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়।
বাংলাদেশের জাতীয় নারী ফুটবল দলও শোভাযাত্রায় অংশ নেবে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তির তথ্য অনুসারে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খানের সভাপতিত্বে বাংলা নববর্ষ-১৪৩২ উদযাপনের কর্মসূচি প্রণয়নের লক্ষ্যে এ সভা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘সভায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বাংলা নববর্ষ-১৪৩২ সুষ্ঠুভাবে উদযাপনের সার্বিক প্রস্তুতি ও অগ্রগতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। শান্তিপূর্ণ, সুশৃঙ্খল ও উৎসবমুখর পরিবেশে নববর্ষ উদযাপনের জন্য ঢাবির প্রোভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশাকে আহ্বায়ক করে কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক কমিটি ও বিভিন্ন উপকমিটি গঠন করা হয়েছে।’
সভায় সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রোভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা, প্রোভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বসহ বিভিন্ন অংশীজন উপস্থিত ছিলেন।
রেজিস্ট্রার মুন্সী শামস উদ্দিন আহমেদ বলেন, মঙ্গল শোভাযাত্রাকে শুধু বাঙালিদের মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর জন্য একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক অনুষ্ঠানে পরিণত করার লক্ষ্য রয়েছে।
সভায় দেশের বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠী ও অন্যান্য সংগঠন কিভাবে অংশগ্রহণ করতে পারে। শোভাযাত্রায় কতজন মানুষ অংশ নেবে, সে বিষয়ে আলোচনা হয়। তিনি জানান, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য সরকারি কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে দুটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।