নিউ ইয়র্কে বহুল আলোচিত আইসিই বিরোধী আন্দোলন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে প্রতিবাদ-বিক্ষোভে শতাধিক ব্যক্তি গ্রেফতার হন।
অভিবাসন অভিযানের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ লস অ্যাঞ্জেলেসে নিয়ন্ত্রণ হারালেও নিউ ইয়র্কে বিক্ষোভ বেশির ভাগই ছিল শান্তিপূর্ণ। তবে একাধিক গ্রেপ্তার উত্তেজনা বাড়াচ্ছে।
অবশেষে আইসিই-বিরোধী বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে নিউ ইয়র্ক পুলিশ বিভাগের সংঘর্ষ হয়েছে।
এদিকে বৃহস্পতিবার ব্রুকলিনের একটি থানার কাছে পার্কিং লটে নিউ ইয়র্ক সিটি পুলিশ ডিপার্টমেন্ট-এনওয়াইপিডির আটটি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে নাশকতাকারীরা।
পুলিশের বরাত দিয়ে স্থানীয় একটি গণমাধ্যম এ তথ্য জানায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বুশউইকের নিকারবোকার এভিনিউ ও ব্লিকার স্ট্রিট সংলগ্ন ৮৩তম থানা এলাকায় বিক্ষোভকারীদের ‘স্পিক আউট’ কর্মসূচির কয়েক ঘণ্টা পর এ হামলা হয়। ওই বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারীরা পুয়ের্তোরিকান ডে প্যারেডে আসা লোকজনের সঙ্গে পুলিশের আচরণের সমালোচনা করেন।
বিক্ষোভের সঙ্গে অগ্নিসংযোগের কোনো সম্পর্ক আছে কি না, তা তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
পুলিশ জানায়, রাত দেড়টার দিকে পার্কিং লটে থাকা এনওয়াইপিডির চিহ্নযুক্ত ও চিহ্নহীন গাড়িতে আগুন দেওয়া হয়। খবর পেয়ে ফায়ার ডিপার্টমেন্ট নিউ ইয়র্ক কয়েক মিনিটের মধ্যেই আগুন নেভাতে সক্ষম হয়।
এর আগে বুধবার রাতে ফেডারেল কোর্টের সামনে শান্তিপূর্ণ মিছিলের পর কিছুটা উত্তেজনার সৃষ্টি হয় এবং ২ জন গ্রেফতার হন। এরপর বৃহস্পতিবার সকালে ‘সাইলেন্ট মার্চ’ অনুষ্ঠিত হয় ফেডারেল কোর্ট এলাকায়।
শহরের মেয়র এরিক অ্যাডামস স্পষ্ট করে বলেছেন, “নিউ ইয়র্ক সিটিতে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ বৈধ, কিন্তু অরাজকতা ও আইন অমান্য বরদাস্ত করা হবে না।”
এনওয়াইপিডি কমিশনার জেসিকা টিশ বলেন, বর্তমানে বেশিরভাগ বিক্ষোভ শান্তিপূর্ণ, তবে অবৈধ আচরণ হলে তা দমন করা হবে ।
আমেরিকাজুড়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নির্দেশিত আইসিই রেডের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে যুক্ত হচ্ছে নিউ ইয়র্ক, যেখানে শনিবার ‘নো কিং’ কর্মসূচি বিস্তৃতভাবে পালিত হবে। এছাড়া এ কর্মসূচির সমর্থনে লস এঞ্জেলেস, শিকাগো, সিয়াটল, ইত্যাদিতে প্রতিবাদ চলছে
নিউ ইয়র্কে এই আন্দোলন এখনও সক্রিয় এবং প্রতিদিন নতুন বিক্ষোভ ও গ্রেফতার চলছে—প্রধানত লোয়ার ম্যানহাটনের ফোলে স্কয়ার এবং ফেডারেল প্লাজা এলাকায়। প্রশাসন গণমাধ্যমে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের পক্ষ নেওয়া সত্ত্বেও উঁচু সুরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার ঘোষণা দিয়েছে।