ভারতে বিধ্বস্ত এয়ার ইন্ডিয়ার উড়োজাহাজটি বোয়িংয়ের তৈরি। পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর আহমেদাবাদের বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পরই বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। দুর্ঘটনার খবরে প্রি-মার্কেট ট্রেডিংয়ে আমেরিকার নিউ ইয়র্ক স্টক এক্সচেঞ্জে বোয়িংয়ের শেয়ারের মূল্য কমেছে ৮ শতাংশ। শেয়ারের দাম সাড়ে ১৭ ডলার কমায় প্রতিটি শেয়ারের মূল্য দাঁড়িয়েছে ১৯৬.৫২ ডলার।
এছাড়াও, ভারতের শেয়ারবাজারে দেশটির ইন্টারগ্লোব এভিয়েশন ও স্পাইসজেটের শেয়ারের দাম ৩.৪ শতাংশ পর্যন্ত কমে গেছে।
২০১৪ সালে ‘বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার’ কেনে এয়ার ইন্ডিয়া এয়ারলাইনস। এভিয়েশন ট্র্যাকিং সাইট ফ্লাইটরাডার২৪-এর তথ্যমতে, আধুনিক যাত্রীবাহী উড়োজাহাজগুলোর মধ্যে ‘বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার’ অন্যতম।
এতদিন এটি অন্যতম নিরাপদ এবং নির্ভরযোগ্য উড়োজাহাজ হিসেবে সুপরিচিত ছিল।
এভিয়েশন সেফটি নেটওয়ার্কের তথ্য অনুযায়ী, ২০১১ সালে বাণিজ্যিকভাবে চালু হওয়ার পর এটি ড্রিমলাইনারের প্রথম দুর্ঘটনা। বৃহস্পতিবার উড্ডয়নের পরপরই উড়োজাহাজটিতে বড় ধরনের যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয়। দ্রুত নিচে নামতে গিয়ে উড়োজাহাজটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে।
এমন সময় উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হওয়ার খবর এলো, যখন হারানো ভাবমূর্তি ফিরে পাওয়ার চেষ্টায় সংগ্রাম করছে বোয়িং। গত আগস্টে নতুন সিইও হিসেবে কেলি ওর্টবার্গকে নিয়োগ দেয় বোয়িং।
গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে প্রায় ছয় সপ্তাহ ধরে বোয়িংয়ের কর্মীরা দফায় দফায় ধর্মঘট করেন। ওই বছর কম্পানিটির লোকসান হয় ৬০০ কোটি ডলার। কম্পানির ১০৮ বছরের ইতিহাসে এটাই ছিল সর্বোচ্চ ক্ষতি। এ ছাড়া গত বছরের শুরুতে বোয়িং নির্মিত ৭৩৭ ম্যাক্স বিমানের দরজা মাঝ আকাশে খুলে পড়ে। তারও আগে থেকেই দুটি বিমান দুর্ঘটনার জের টানছিল বোয়িং। এসব কারণে তাদের তৈরি উড়োজাহাজগুলো যে নিরাপদ, তা প্রমাণে ধারাবাহিকভাবে ব্যর্থ হচ্ছে আমেরিকার কম্পানিটি।