সোমবার

,

২রা জুন, ২০২৫

পশ্চিম তীরে ২২টি বসতি স্থাপনের ঘোষণা ইসরাইলের

নিজস্ব প্রতিবেদক
ছবি: সংগৃহীত

গাজায় যুদ্ধ বন্ধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চাপের মধ্যে ইসরাইল বৃহস্পতিবার অধিকৃত পশ্চিম তীরে ২২টি বসতি স্থাপনের অনুমোদন দিয়েছে। যদিও বসতি স্থাপন ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে সবচেয়ে বিতর্কিত বিষয়গুলোর একটি।

ব্রিটেন ও প্রতিবেশী দেশ জর্ডান উভয়ই এই পদক্ষেপের নিন্দা জানিয়েছে। লন্ডন এটিকে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠনের পথে ‘ইচ্ছাকৃত বাধা’ বলে অভিহিত করেছে।

জেরুজালেম থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানায়।

পশ্চিম তীরে ইসরাইলি বসতি স্থাপনকে জাতিসংঘ নিয়মিতভাবে আন্তর্জাতিক আইনের অধীনে অবৈধ বলে নিন্দা করেছে। এটি ইসরাইল ও ফিলিস্তিনিদের মধ্যে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার অন্যতম প্রধান বাধা হিসেবে দেখা হয়।

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ এবং অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোট্রিচ জানিয়েছেন, এদের মধ্যে অনেক বসতি ইতিমধ্যে ‘আউটপোস্ট’ হিসেবে গড়ে উঠেছে—যেগুলো আগে সরকারের আনুষ্ঠানিক অনুমতি ছাড়াই নির্মিত হয়েছিল। এবার সেগুলোকে ইসরায়েলি আইনের আওতায় বৈধতা দেওয়া হবে।

স্মোট্রিচ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে বলেন, আমরা বসতি স্থাপনের জন্য একটি ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নিয়েছি। জুডিয়া ও সামেরিয়ায় ২২টি নতুন সম্প্রদায়, সামেরিয়ার উত্তরে নতুন করে বসতি স্থাপন করা হবে এবং ইসরাইল রাষ্ট্রের পূর্ব অক্ষকে শক্তিশালী করা হবে।

তিনি আরও বলেন, ‘পরবর্তী পদক্ষেপ: সার্বভৌমত্ব!’

কাটজ বলেন, এই উদ্যোগ এই অঞ্চলের চেহারা বদলে দেবে এবং আগামী বছরগুলোতে বসতির ভবিষ্যৎ তৈরি করবে।

এক বিবৃতিতে হামাস ইসরাইলের বিরুদ্ধে সম্প্রসারণ প্রকল্পের আওতায় ফিলিস্তিনি ভূমিকে ইহুদি করণের অভিযোগ করেছে।

হামাস বলেছে, এটি আন্তর্জাতিক ইচ্ছার স্পষ্ট অমান্য এবং আন্তর্জাতিক আইন ও জাতিসংঘের প্রস্তাবের গুরুতর লঙ্ঘন।

প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর ডানপন্থি লিকুদ পার্টি এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়ে একটি মানচিত্রও প্রকাশ করেছে, যেখানে ভূখণ্ডজুড়ে ছড়িয়ে থাকা ২২টি স্থান দেখানো হয়েছে।

ইসরায়েলের বসতি-বিরোধী তদারকি সংগঠন ‘পিস নাউ’ জানিয়েছে, নতুন বসতিগুলো পশ্চিম তীরের ভূপ্রকৃতি এবং রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে পুরোপুরি বদলে দেবে এবং ইসরায়েলের দখল আরও শক্তিশালী করবে।