বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি ফারুক আহমেদ জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের মনোনীত পরিচালক। তবে ক্রীড়া পরিষদের যে মনোনয়নে কাউন্সিলর হয়ে বিসিবিতে পরিচালক ও পরে সভাপতি হন ফারুক, সেই মনোনয়নই তুলে নিয়েছে এনএসসি।
বৃহস্পতিবার গভীর রাতে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ এক প্রজ্ঞাপনে ফারুক আহমেদের মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছে। কারণ হিসেবে দেখিয়েছে ৮ পরিচালকের তার প্রতি অনাস্থা ও বিপিএল নিয়ে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের তদন্ত প্রতিবেদন।
ক্রীড়া পরিষদ মনোনয়ন বাতিল করায় ফারুকের পরিচালক পদ ও সভাপতি পদের অবসান ঘটবে, কারণ পরিচালক না থাকলে কেউ বিসিবির সভাপতি হতে পারেন না। আবার কাউন্সিলর না থাকলে পরিচালক হওয়া যায় না।
ফারুকের জায়গায় কাউন্সিলর হয়ে বিসিবিতে পরিচালক হিসেবে যোগ দিতে যাচ্ছেন সাবেক অধিনায়ক আমিনুল ইসলাম বুলবুল। খুবই শিগগিরই এই সম্পর্কিত প্রজ্ঞাপন জারি হতে পারে। বুলবুল পরিচালক হলে বিসিবির বিশেষ সভায় তাকে সভাপতি নির্বাচিত করাও প্রায় ঠিক হয়ে আছে।
এনএসসির প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ‘মনোনীত পরিচালক জনাব ফারুক আহমেদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের ০৮ জন পরিচালক (বর্তমানে সংখ্যাগরিষ্ঠ) অনাস্থা প্রস্তাব দাখিল করায় এবং বিপিএল সংক্রান্তে গঠিত সত্যানুসন্ধান কমিটির প্রতিবেদন পর্যালোচনায় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখার প্রয়োজনে জনাব ফারুক আহমেদের অনুকূলে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের ইতঃপূর্বের মনোনয়ন বাতিল করা হলো।’
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সার্বিক পরিস্থিতি যেমন ফারুকের জন্য চ্যালেঞ্জিং, তেমনি এ ঘটনা দেশের ক্রিকেটের জন্যও হুমকির। সরকারের হস্তক্ষেপ পড়লে সেই সদস্যকে আইসিসি বহিষ্কার করে থাকে। এখন বিসিবির সভাপতি পদ থেকে ফারুককে সরাতে যেভাবে চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে, সেটা কিভাবে গ্রহণ করবে বিশ্ব ক্রিকেট নিয়ন্ত্রণ সংস্থা তা স্পষ্ট হওয়া যাবে দ্রুতই।
এর আগে, আইসিসির নিয়ম মেনেই নাজমুল হাসান পাপনের স্থলাভিষিক্ত হয়েছিলেন ফারুক। বিসিবির বৈধ সভাপতি হতেই এনএসসির মনোনীত পরিচালক করা হয়েছিল তাকে। এখন সেই পদ নেই, তাই তার বিসিবির সভাপতির পদও যে থাকবে না, এ কথা ক্রিকেট অঙ্গনে ভেসে বেড়াচ্ছে।