সোমবার

,

২রা জুন, ২০২৫

ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি জার্মানির

নিজস্ব প্রতিবেদক
ছবি: সংগৃহীত

কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়ে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী। পাশাপাশি ইসরায়েলের কাছে আর অস্ত্র রপ্তানি করা হবে না বলে জানিয়েছে জার্মানি। বার্লিনের রপ্তানি করা অস্ত্র মানবিক আইন লঙ্ঘনে ব্যবহৃত হচ্ছে অভিযোগে জার্মানির এমন পদক্ষেপের কথা জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জোহান ওয়াদেফুল।

জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী জোহান ওয়াদেফুল ২৭ মে মঙ্গলবার ইসরায়েলের বিরুদ্ধে অনির্দিষ্ট কিছু পদক্ষেপ নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন। জানিয়েছেন, মানবিক আইন লঙ্ঘনের জন্য ব্যবহৃত অস্ত্র ইসরায়েলকে আর রপ্তানি করবে না জার্মানি। এটি গাজার পরিস্থিতি নিয়ে জার্মানির এখন পর্যন্ত সবচেয়ে কঠোর পদক্ষেপ।

জার্মান বার্তা সম্প্রচারমাধ্যম ডব্লিউডিআরকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াদেফুল বলেন, ইসরায়েলের প্রতি জার্মানির ঐতিহাসিক সমর্থনকে ভুলভাবে ব্যবহার করা উচিত নয়। তিনি গাজায় বিমান হামলা, খাদ্য ও ওষুধের তীব্র সংকট পরিস্থিতিকে ‘অসহনীয়’ করে তুলেছে।

এর আগে জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মেৎস ফিনল্যান্ডে এক সংবাদ সম্মেলনে গাজায় বিমান হামলার সমালোচনা করে বলেছিলেন, এই হামলাগুলো আর হামাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের প্রয়োজনীয়তার মাধ্যমে ন্যায্যতা পাচ্ছে না।

ওয়াদেফুল বলেন, ‘আমাদের ইহুদিবিরোধিতার বিরুদ্ধে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ লড়াই এবং ইসরায়েলের অস্তিত্ব ও নিরাপত্তার প্রতি আমাদের পূর্ণ সমর্থনকে গাজা উপত্যকায় বর্তমানে চলমান সংঘাত ও যুদ্ধের জন্য ব্যবহার করা উচিত নয়।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমরা এখন এমন একটি পর্যায়ে পৌঁছেছি যেখানে আমাদের খুব সাবধানে পরবর্তী পদক্ষেপগুলো বিবেচনা করতে হবে।’ তবে তিনি এ বিষয়ে আরো বিস্তারিত কিছু বলেননি।

আমেরিকার পাশাপাশি জার্মানিও ২০২৩ সালে গাজায় সহিংসতার শুরু থেকেই ইসরায়েলকে সমর্থন দিয়ে এসেছে।
কিন্তু জার্মানি এবার এমন সময় ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান জানান দিল, যখন গাজায় বেপরোয়া হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী।

এ ঘটনায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন তাদের ইসরায়েল নীতি নতুন করে ভেবে দেখতে শুরু করেছে। যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স এবং কানাডাও গাজা নিয়ে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে বাস্তব পদক্ষেপ নেওয়ার হুমকি দিয়েছে।