আমাদের অতিপ্রয়োজনীয় অ্যান্ড্রয়েড ফোনে নতুন সফটওয়্যার আপডেট ইনস্টল করা জরুরি। কারণ এতে ফোনের সিস্টেমে নতুন ফিচার আসে ও ঠিক হয় পুরনো সব বাগ। তবে আপডেট হওয়ার কোনো সফটওয়্যার কনফ্লিক্ট করে কিনা, সেটা দেখে নেয়া জরুরি। ফোনটি আপডেট দেয়ার পর আরো কিছু পরীক্ষা ও পরিবর্তন করাও জরুরি। যেমন-
সেটিংস পরীক্ষা করা: সফটওয়্যার আপডেটের ফলে কিছু সেটিংস বদলে যেতে পারে। তাই প্রথমেই ব্যক্তিগত ডাটা ও প্রাইভেসি সেটিংস চেক করে নিন।
অ্যাপগুলো আপডেট করা: সফটওয়্যার আপডেট হলে, ফোনে থাকা অ্যাপগুলো আপডেট করে নেয়া প্রয়োজন। নয়তো অপ্রত্যাশিত সমস্যা বা ক্র্যাশের সম্মুখীন হতে হবে।
ক্যাশে পার্টিশন মুছে ফেলা: আপডেটের পর অনেক অস্থায়ী ফাইল জমে যায়, যেগুলো ফোনের কার্যক্ষমতা ধীর করে দিতে পারে। তাই ক্যাশে পার্টিশন ক্লিয়ার করে নেয়া ভালো। সেজন্য ফোনটি বন্ধ করে, স্যামসাং ফোন হলে ভলিউম আপ ও পাওয়ার বাটন একসঙ্গে চেপে ধরে রাখতে হবে। অন্য ফোন হলে সে অনুযায়ী পরিচালনা করে নিন। রিকভারি মুডে যেয়ে ওয়াইপ ক্যাশে পার্টিশন সিলেক্ট করে ইয়েস চাপতে হবে। রিবুট সিস্টেম সিলেক্ট করে ফোন রিস্টার্ট দিতে হবে। এতে কোনো ব্যক্তিগত তথ্য মুছে যাবে না।
স্টোরেজ চেক করা: নতুন সফটওয়্যার আপডেটের কারণে অতিরিক্ত স্টোরেজ ব্যবহার হতে পারে। তাহলে পারফরম্যান্স কমে যেতে পারে বা ভবিষ্যতে আপডেট ইনস্টল করতেও সমস্যা হতে পারে। তাই সেটিংসের স্টোরেজ অথবা সেটিংস থেকে ডিভাইস কেয়ারে গিয়ে এরপর স্টোরেজে গিয়ে ট্র্যাশ ফোল্ডার খালি ও অ্যাপ ক্যাশে পরিষ্কার করতে হবে।
প্রয়োজনে ফ্যাক্টরি রিসেট করা: আপডেটের পর ফোনে যদি বড় ধরনের সমস্যা হয় এবং সাধারণ সমাধানেও কাজ না হয়, তাহলে ফ্যাক্টরি রিসেট করা যেতে পারে। তবে এ কাজ করার আগে অবশ্যই সব গুরুত্বপূর্ণ তথ্য গুগল ড্রাইভ বা এক্সটার্নাল স্টোরেজে ব্যাকআপ রাখতে হবে। এরপর রিসেট করে আবার ডাটা ফিরিয়ে আনতে হবে।
যেকোনো বাগ রিপোর্ট করা: সবচেয়ে বড় কোম্পানিগুলোও অনেক সময় সব বাগ ধরতে পারে না। তাই ফোনে কোনো সমস্যা হলে সেটি রিপোর্ট করা উচিত। এক্ষেত্রে সেটিংসে যেয়ে অ্যাবাউট ফোন অপশনে ‘সেন্ড ফিডব্যাক অ্যাবাউট দিস ডিভাইস’-এ গিয়ে রিপোর্ট পাঠানো যায়।
