রাজধানী কিয়েভসহ ইউক্রেনের বিভিন্ন অঞ্চলে রাশিয়া রাতের বেলা রেকর্ড সংখ্যক ড্রোন হামলা চালিয়েছে। এতে একজন নারী নিহত এবং অন্তত তিনজন আহত হয়েছে।
কিয়েভ থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানায়।
গত শুক্রবার তুরস্কে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে শান্তি আলোচনা হওয়ার পর থেকে মস্কোর হামলার তীব্রতা বেড়েছে। এর মধ্যে রবিবার স্থানীয় সময় সকাল ৮টা পর্যন্ত কিয়েভ অঞ্চলের মূল এলাকাগুলো এবং পূর্বাঞ্চলের দিনিপ্রোপেত্রভস্ক ও দোনেত্স্ক লক্ষ্য করে মস্কো ২৭৩টি ড্রোন ছুড়েছে। এর মধ্যে ৮৮টি ধ্বংস করা হয়েছে এবং আরও ১২৮টি তেমন কোনো ক্ষতি করা ছাড়াই নষ্ট হয়ে গেছে বলে জানিয়েছে ইউক্রেনের বিমানবাহিনী।
তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এটি ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর এখন পর্যন্ত ইউক্রেনে রাশিয়ার সবচেয়ে বড় ড্রোন হামলা। এর আগে যুদ্ধের তিন বছর পূর্তির প্রাক্কালে এ বছরের ২৩ ফেব্রুয়ারি মস্কো ইউক্রেনে ২৬৭টি ড্রোন হামলা চালিয়েছিল। গতকালের আগে সেটিই ছিল সবচেয়ে বড় ড্রোন হামলা।
শুক্রবার তুরস্কে অনুষ্ঠিত শান্তি আলোচনা ছিল ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে যুদ্ধ শুরুর পর রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে প্রথম সরাসরি উচ্চপর্যায়ের বৈঠক। বৈঠকে এক হাজার বন্দি বিনিময়ে সম্মত হয়েছে দুই পক্ষ।
ইউক্রেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাসতেম উমেরভ জানিয়েছেন, আলোচনার পরবর্তী ধাপ হতে পারে প্রেসিডেন্ট পুতিন ও ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কির সরাসরি বৈঠক। তবে ক্রেমলিন বলেছে, যুদ্ধবন্দি বিনিময় ও যুদ্ধবিরতি প্রসঙ্গে উভয়পক্ষের দৃষ্টিভঙ্গি পরিষ্কার না হওয়া পর্যন্ত পরবর্তী আলোচনা সম্ভব নয়।
এদিকে, আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শনিবার জানিয়েছেন, তিনি সোমবার রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে কথা বলবেন।
রাশিয়ার সর্বশেষ ড্রোন হামলা নিয়ে ইউক্রেন তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির প্রধান সহকারী আন্দ্রি ইয়ারমাক বলেছেন, ‘ইস্তাম্বুলে আলোচনাগুলো রাশিয়ার জন্য নিছক ভান। পুতিন সত্যিকারের শান্তি চান না, তিনি যুদ্ধই চালিয়ে যেতে চান।