অবরুদ্ধ গাজায় বসবাসরত প্রায় ২২ লাখ ফিলিস্তিনিদের মধ্যে থেকে ১০ লাখ ফিলিস্তিনিকে স্থায়ীভাবে লিবিয়ায় স্থানান্তরের পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন। শনিবার আমেরিকাভিত্তিক সংবাদমাধ্যম এনবিসি নিউজ এক প্রতিবেদনে এই তথ্য প্রকাশ করেছে।
এই প্রচেষ্টা সম্পর্কে অবগত পাঁচজন এনবিসি নিউজকে এই তথ্য জানিয়েছেন।
তবে লিবিয়ার সরকারের সঙ্গে এখনো কোনো চুক্তি হয়নি। চুক্তি নিয়ে আলোচনা চলমান। এ জন্য তহবিল প্রদান, বিনামূল্যে আবাসন ও বৃত্তির মতো প্রণোদনা বিবেচনা করা হচ্ছে।
নির্ভরযোগ্য ওই সূত্রটি বলেছে, পরিকল্পনাটি যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করা হচ্ছে। এরই মধ্যে লিবিয়ার নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করেছে ট্রাম্প প্রশাসন।
সূত্রের দাবি, ফিলিস্তিনিদের পুনর্বাসনের বিনিময়ে লিবিয়াকে শত শত কোটি ডলারের তহবিল ফেরত দেবে ট্রাম্প প্রশাসন, যা এক দশকেরও বেশি সময় আগে জব্দ করেছিল আমেরিকা। সূত্র জানিয়েছে, কোনো চূড়ান্ত চুক্তি হয়নি। ইসরায়েলকে এ বিষয়ে অবহিত করা হয়েছে।
এদিকে লিবিয়া সরকারের সঙ্গে আলোচনা অব্যাহত থাকার শক্ত প্রমাণ পেয়েছে বলে দাবি করেছে এনবিসি নিউজ।
প্রতিবেদন প্রকাশের আগে আমেরিকার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদকে মন্তব্যের অনুরোধ করা হলেও জবাব দেয়নি তারা।
তবে প্রতিবেদন প্রকাশের পর অসত্য আখ্যা দিয়ে মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র বলেন, মাঠের পরিস্থিতি এই ধরনের পরিকল্পনার জন্য উপযোগী নয়। এই ধরনের পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা হয়নি এবং এর কোনো অর্থ নেই।
এ বিষয়ে হামাসের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বাসেম নাইম বলেন, ফিলিস্তিনিদের শিকড় তাদের মাতৃভূমিতে গেড়ে আছে এবং মাতৃভূমির জন্য দৃঢ় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। নিজেদের ভূমি, পরিবার এবং সন্তানদের ভবিষ্যৎ রক্ষার জন্য যেকোনো ত্যাগ করতে প্রস্তুত ফিলিস্তিনিরা।
গাজাবাসীসহ ফিলিস্তিনিদের কী করা উচিত বা অনুচিত, সে সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার একমাত্র ফিলিস্তিনিদের। ইসরায়েল সরকারের প্রতিনিধিরা এ বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।
তবে এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই, ১০ লাখ মানুষকে সেখানে পুনর্বাসনের চেষ্টায় সম্ভবত উল্লেখযোগ্য বাধা আসবে। এ ছাড়া এই প্রচেষ্টা হবে অত্যন্ত ব্যয়বহুল। ট্রাম্প প্রশাসন কিভাবে এর খরচ বহন করবে তাও স্পষ্ট নয়।