শনিবার

,

৩১শে মে, ২০২৫

ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য সফরে ‘ট্রিলিয়ন ডলারের’ বিনিয়োগ চুক্তি

নিজস্ব প্রতিবেদক
ছবি: সংগৃহীত

আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শুক্রবার আবুধাবিতে বিপুল বিনিয়োগ চুক্তির মাধ্যমে তাঁর দ্বিতীয় মেয়াদের প্রথম বিদেশ সফরের উপসাগরীয় পর্ব শেষ করেছেন।

সৌদি আরব, কাতার ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে ট্রাম্পকে জাঁকজমকপূর্ণ অভ্যর্থনা জানানো হয় এবং তিনিও আরব নেতাদের প্রশংসা করেন। তিনি জানান, সফরের ফলে ‘ট্রিলিয়ন ডলারের’ বিনিয়োগ নিশ্চিত হয়েছে।

আমিরাতের সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, আমেরিকা ও সংযুক্ত আরব আমিরাত ২০০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি মূল্যের প্রযুক্তি কাঠামো চুক্তি করেছে।

বৃহস্পতিবার আমেরিকার প্রেসিডেন্ট সংযুক্ত আরব আমিরাতের সাথে আমেরিকার সম্পর্ক জোরদার করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন এবং উভয় দেশ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় সহযোগিতা আরও বৃদ্ধি করতেও সম্মত হয়েছে।

এসময় ট্রাম্প ১০ বছরে আমেরিকায় ১.৪ ট্রিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের জন্য সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রতিশ্রুতির কথা উল্লেখ করেন। সংযুক্ত আরব আমিরাতও ট্রাম্প প্রশাসনকে পুনরায় বিনিয়োগ প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যাক্ত করেন।

এই বিপুল অঙ্কের অর্থনৈতিক অঙ্গীকারের পাশাপাশি ট্রাম্পের সফরে সিরিয়ার ওপর দীর্ঘদিনের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার এবং ইরানের পারমাণবিক চুক্তি নিয়ে নতুন আশাবাদের কথাও উঠে আসে।

আমেরিকা ও সংযুক্ত আরব আমিরাত পরিকল্পনা করছে, তারা ২০৩৫ সালের মধ্যে জ্বালানি খাতে ৪৪০ বিলিয়ন ডলার খরচ করবে। আমিরাতের তেল জায়ান্ট অ্যাডনকের প্রধান সুলতান আল-জাবের এ তথ্য জানিয়েছেন। এর আগে ইতিহাদ এয়ারওয়েজ ঘোষণা দিয়েছে, তারা ২৮টি বোয়িং উড়োজাহাজ কিনছে যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে।

এদিকে আবুধাবি সফরে গিয়ে শেখ জায়েদ গ্র্যান্ড মসজিদ পরিদর্শনে গেছেন। ক্রাউন প্রিন্স খালদুন খালিফা আল মুবারাক তাঁকে সঙ্গে নিয়ে যান। মসজিদ দেখে ট্রাম্প প্রশংসা করেন। গাজা ইস্যুতে ট্রাম্প বলেছেন, গাজার ক্ষুধার্ত ফিলিস্তিনিদের সাহায্য করা প্রয়োজন।

ফিলিস্তিনিদের জন্য সাহায্যের প্রতি সমর্থন জানিয়ে তিনি বলেছেন, গাজার মানুষ অনাহারে আছে। আগামী মাসে অনেক ভালো কিছু ঘটবে তাদের সঙ্গে।

ট্রাম্প কাতার এয়ারওয়েজের সঙ্গে বোয়িং জেট কেনার ২০০ বিলিয়ন ডলারের অর্ডার এবং সৌদি আরবের সঙ্গে ৬০০ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগের চুক্তি সম্পাদন করেন, যার মধ্যে প্রায় ১৪২ বিলিয়ন ডলার মূল্যের অস্ত্র বিক্রিও রয়েছে। হোয়াইট হাউস একে ‘ইতিহাসের সর্ববৃহৎ অস্ত্রচুক্তি’ হিসেবে বর্ণনা করেছে।

এছাড়া সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান আমেরিকার সাথে বিনিয়োগ চুক্তিকে ১ ট্রিলিয়ন ডলারে উন্নীত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে।