রবিবার

,

১লা জুন, ২০২৫

বে-টার্মিনালে ২৫ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হবে :বিডা চেয়ারম্যান

নিজস্ব প্রতিবেদক
ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রাম বন্দরের বে টার্মিনালে ২৫ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হবে। চট্টগ্রাম বন্দরকে ঘিরে সরকারের মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে দেশের অর্থনীতি দ্রুত ঘুরে দাঁড়াবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন। এ সময় তিনি চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বাড়ানোর উপর গুরুত্বারোপ করেন।

বৃহস্পতিবার নগরীর হোটেল রেডিসন ব্লু -এর মেজবান হলে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ আয়োজিত বন্দর বিষয়ক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। চট্টগ্রাম বন্দরের লালদিয়ার চরে প্রস্তাবিত টার্মিনালে নেদারল্যান্ডের এপিএম ৮০০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে বলেও জানিয়েছেন আশিক চৌধুরী। তার আগে তিনি লালদিয়া টার্মিনাল, বে টার্মিনাল ও নিউমুরিং কন্টেইনার টার্মিনাল পরিদর্শন করেন।

বিডা চেয়ারম্যান বলেন, বাংলাদেশে যারা ব্যবসা করেন, তারা অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করেন। আমরা সমস্যাগুরো সমাধানের চেষ্টা করছি।
তিনি বলেন, শুধু চট্টগ্রাম বন্দরকে ঘিরেই আগামী তিন থেকে পাঁচ বছরের মধ্যে আসবে অন্তত তিন বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ। বন্দরের বিভিন্ন স্থাপনা পরিদর্শনের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমার ফাইনাল পয়েন্ট হচ্ছে বিনিয়োগ। আমি লালদিয়ার চরে গিয়েছিলাম, সেখানে প্রায় ৬০০ থেকে ৮০০ মিলিয়ন ডলার এফডিআই আসার সম্ভাবনা রয়েছে। তারপর আমরা বে-টার্মিনালে গেলাম। সেখানে দুইটা অপারেটরের কথা বলা হচ্ছে। তাদের প্রত্যেকের এক বিলিয়ন ডলার করে এনে ইনভেস্ট করার প্ল্যান আছে। এরপর আমরা এনসিটিতে গিয়েছিলাম, সেখানেও ২০০ মিলিয়ন ডলারের মতো কথাবার্তা হচ্ছে। এই যে আমরা তিন বিলিয়ন ডলারের কথা বলছি, এটা হয়তো পরবর্তী তিন থেকে পাঁচ বছরের মধ্যে আসতে শুরু করবে, যদি আমরা সবকিছু সাফল্যের করতে পারি।

তিনি বলেন, এ সরকার বলেন, আগামী সরকার বলেন, আগামী পাঁচ-সাতটা সরকারের কিন্তু সবচেয়ে বড় এজেন্ডা থাকতে হবে কর্মসংস্থান। সেটাকে প্রাইমারি গোল ধরে আমাদের ডিসিশন যেদিকে, যেভাবে নেয়া দরকার, সেভাবেই নিতে হবে। পোর্টগুলোকে এফিশিয়েন্ট করলে যদি আমাদের ব্যবসা বাড়ে, তাহলে কর্মসংস্থান বাড়বে।

তিনি বলেন, শ্রীলঙ্কায় বন্দর আছে সাতটা। তাদের যে হ্যান্ডলিং ক্যাপাসিটি সেভেন পয়েন্ট সেভেন এইট মিলিয়ন টিইইউস। বাংলাদেশের ক্যাপাসিটি এখন ওয়ান পয়েন্ট থ্রি এর কাছাকাছি। ভিয়েতনামে টোটাল পোর্ট আছে ৪৪টা। তাদের ক্যাপাসিটি ৪৭ মিলিয়ন টিইইউস। আমরা বলি যে, আমরা ভিয়েতনামের সঙ্গে কম্পিটিশন করবো, কিন্তু তাদের ক্যাপাসিটি আমাদের চেয়ে ২০ গুণ বেশি। কম্বোডিয়া খুবই ছোট্ট একটা দেশ, তাদের পোর্ট হচ্ছে ২৬টা। আমাদের মূলনীতি হলো, আমাদের দেশে বিশ্বের সেরা পরিচালিত বন্দর থাকতে হবে। তাহলে আমাদের ঠিকভাবে প্রতিযোগিতা যেন করতে পারি, সেটা নিশ্চিত করতে হবে।