শুক্রবার

,

৯ই মে, ২০২৫

বাংলাদেশের মাটি দিয়ে জার্মানিতে কবি দাউদ হায়দারের দাফন

নিজস্ব প্রতিবেদক
ছবি: সংগৃহীত

প্রথম নির্বাসিত কবি দাউদ হায়দারকে জার্মানিতে দাফন করা হয়েছে। এসময় ইউরোপের বিভিন্ন দেশ থেকে বন্ধু ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা কবিকে শেষবারের মত বিদায় জানাতে বার্লিনে ছুটে আসেন। বাংলাদেশ থেকে আনা মাটি তাঁর কবরের উপর ছিটিয়ে দেয়ার মাধ্যমে তাকে শেষশ্রদ্ধা জানানো হয়।

জার্মানির রাজধানী বার্লিনে শুক্রবার টেম্পেলহফ শোইনেবার্গ এলাকার একটি মসজিদে জানাজা শেষে স্থানীয় সেন্ট মিশায়েল কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হয়। শেষ সময়ে প্রয়াত কবির পাশে থাকায় সবার কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন কবির ভাগ্নি ও কবির স্নেহধন্য মাইন চৌধুরী পিটুসহ তাঁর বন্ধুরা।

২৬ এপ্রিল শনিবার বার্লিনের একটি রিহ্যাবিলিটেশন ক্লিনিকে ৫১ বছরের নির্বাসিত জীবন শেষ করে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করেন কবি দাউদ হায়দার। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৩ বছর। তিনি গেল বছরের ১২ ডিসেম্বর বার্লিনের রাইনিকেডর্ফে তাঁর ফ্ল্যাটে পড়ে গিয়ে মাথায় মারাত্মকভাবে আঘাত পান। পরে গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বার্লিনসহ কয়েকটি হাসপাতালে তিনি চিকিৎসাধীন ছিলেন।

১৯৭৪ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি দৈনিক সংবাদের সাহিত্য পাতায় লেখা একটি কবিতার কারণে কবি দাউদ হায়দার নির্বাসিত হন। প্রথমে ভারতের কলকাতায় ১৩ বছর নির্বাসিত থাকার সময়ে তিনি জার্মান নোবেলবিজয়ী লেখক গুন্টার গ্রাসের সাথে পরিচয়ের সুত্র ধরে জার্মানিতে বসবাসের সুযোগ পান। এরপর থেকেই তিনি আর বাংলাদেশে ফিরতে পারেননি। দেশের কোন সরকারও কবিকে দেশে ফিরিয়ে নেয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করেনি বলে জানান তার স্বজনরা। তবুও তার কবিতা ও সাহিত্যের মাধ্যমে সবার অন্তরে অমর হয়ে থাকবেন প্রত্যাশা তাঁর পাঠক ভক্ত, সুহৃদ ও স্বজনদের। কবি দাউদ হায়দার ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারী পাবনা সদরের দোহারপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন।