রবিবার

,

৪ঠা মে, ২০২৫

যুদ্ধবিমান মহড়া চালিয়েছে ভারত, সতর্ক অবস্থানে পাকিস্তান

নিজস্ব প্রতিবেদক
ছবি: সংগৃহীত

কাশ্মীর নিয়ে ভারত ও পাকিস্তান দুইবার যুদ্ধে জড়িয়েছে। এ নিয়ে কয়েক দশক ধরেই সীমান্তে অসংখ্য সংঘর্ষ হয়েছে। দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনার প্রভাব পড়ে সীমান্তবর্তী এলাকার মানুষের ওপর।

নয়াদিল্লি ও ইসলামাবাদের মধ্যে তীব্র উত্তেজনাকর পাল্টাপাল্টি পদক্ষেপের কারণে উভয় দেশ যুদ্ধে জড়িয়ে পড়তে পারে বলে শঙ্কায় আছে বিশ্ব।

এরই মধ্যে শুক্রবার উত্তর প্রদেশের একটি হাইওয়েতে যুদ্ধবিমান নামানোর মহড়া চালিয়েছে ভারত।

রয়টার্স জানায়, এ মহড়ায় অংশ নেয় রাফাল, জাগুয়ার, মিরাজ-২০০০, সুখোই-৩০, মিগ-২৯ এবং সামরিক পরিবহন বিমান সি-১৩০জে সুপার হারকিউলিস।

বার্তা সংস্থাটির প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, নির্মাণাধীন গঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ের ওপর সাড়ে তিন কিলোমিটার দীর্ঘ জরুরি অবতরণ স্থাপনাটি নির্মাণ করা হয়েছে। এটি দেশটির একমাত্র হাইওয়ে এয়ারস্ট্রিপ, যেখানে রাতে বিমান অবতরণ করতে পারবে।

এদিকে কাশ্মীরে প্রাণঘাতী হামলার পর ভারতের সম্ভাব্য সামরিক ব্যবস্থার শঙ্কায় পাকিস্তানের আজাদ কাশ্মীরে সব মাদ্রাসা বন্ধ করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

চিনারি শহর থেকে ইমাম আযম আবু হানিফা মাদ্রাসার প্রশাসক মাওলানা ফরিদ আহমেদ শুক্রবার রয়টার্সকে মাদ্রাসা বন্ধের সিদ্ধান্তের কথা জানান। তিনি জানান, মাদ্রাসাগুলো ১০ দিনের জন্য বন্ধ রাখা হয়েছে। ভারতের যেকোনো হামলার জবাব দিতে সেনাবাহিনী, আলেম, শিক্ষার্থী ও সব সক্ষম পাকিস্তানি প্রস্তুত বলে জানান ফরিদ।

এর আগে বৃহস্পতিবার, ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইকোনমিক টাইমস জানিয়েছে, পাকিস্তানের সেনারা সীমান্তে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা মোতায়েন করেছে। এছাড়া গোলন্দাজ ইউনিটকে সামনের দিকে নিয়ে এসেছে। পাকিস্তান রাজস্থানের লংয়েওয়ালা সেক্টরের সীমান্তে রাডার সিস্টেম এবং আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা মোতায়েন করেছে।

পাশাপাশি পাকিস্তানের বিমানবাহিনী একই সময়ে তিনটি আলাদা মহড়া চালাচ্ছে। এতে এফ-১৬, জে-১০ এবং জেএফ-১৭সহ সব ধরনের বড় যুদ্ধবিমান মহড়ায় যুক্ত করেছে ইসলামাবাদের কর্তাব্যক্তিরা। গত ২৯ এপ্রিল থেকে পাকিস্তান বিমানবাহিনীর এসব মহড়া চলছে।