শুক্রবার

,

৯ই মে, ২০২৫

আটলান্টিক সিটিতে অনুষ্ঠিত বাংলা ‘নববর্ষ বরণ’ উৎসব

সুব্রত চৌধুরী, নিউ জার্সি
ছবি: সংগৃহীত

আমেরিকার নিউ জার্সি স্টেটের আটলান্টিক সিটিতে উৎসবমুখর পরিবেশে উদযাপিত হলো বাংলা নতুন বছর ১৪৩২। এসি ডাকটাউন-এর উদ্যোগে স্টকটন বিশ্ববিদ্যালয়ের নোয়েস আর্ট গ্যারেজে অনুষ্ঠিত হয় নববর্ষ উৎসব। আয়োজনের মধ্যে ছিল সংগীত, নৃত্য, আবৃত্তি ও বৈশাখী মেলা। প্রবাসী বাঙালিরা রঙিন পোশাকে সেজে উৎসবে অংশ নেন।

বাঙালি জীবনের অসাম্প্রদায়িক, সর্বজনীন একটি উৎসব হলো পহেলা বৈশাখ। লোকজের সঙ্গে নাগরিক জীবনের সেতুবন্ধ এই পহেলা বৈশাখ। অতীতের ভুলত্রুটি ও ব্যর্থতার গ্লানি ভুলে নতুন করে সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনায় উদযাপিত হয় নববর্ষ। অসাম্প্রদায়িক চেতনা বিকাশে পহেলা বৈশাখের গুরুত্ব অনন্য।

আটলান্টিক সিটির সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যের স্বীকৃতি হিসেবে এবং এই সিটিতে বসবাসরত বিভিন্ন কমিউনিটির মধ্যে সম্প্রীতি দৃঢ় করার লক্ষ্যে বুধবার বিকেলে অনুষ্ঠিত সিটি কাউন্সিলের সভায় পহেলা বৈশাখকে বাংলা নববর্ষ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় “নববর্ষ বরণ” অনুষ্ঠানটি পেয়েছিল ভিন্ন এক মাত্রা। বাংলা সংস্কৃতির রূপ, রস ও বৈচিত্র্যের নান্দনিক উপস্থাপনায় বৈশাখের রঙে রঙিন হয়ে উঠেছিল আটলান্টিক সিটি।

আটলান্টিক কাউন্টিতে বসবাসরত প্রবাসী বাঙালিরা কাব‍্যে-সংগীতে-নৃত্যে পালন করেছে তাদের প্রাণের উৎসব বাংলা নববর্ষ, যা পরম আরাধ্য ও চরম প্রাপ্তির বৈকুণ্ঠময় অনুভবের স্মারক হয়ে থাকল।

আয়োজকদের কথায়, এই উদ্‌যাপনের মূল উদ্দেশ্য বৃহত্তর প্রবাসী সম্প্রদায়ের মধ্যে বাংলা সংস্কৃতির প্রকৃত বার্তা পৌঁছে দেওয়া , যাতে করে তারা তা অন্তরে ধারণ করে বেঁচে থাকতে পারে।

প্রবাসে বেড়ে ওঠা প্রজন্মের মনোজগতে বাংলা সংস্কৃতি যাতে চির জাগরুক থাকে সেই লক্ষ্যেই ছিল তাদের এই প্রয়াস।

নববর্ষ বরণ অনুষ্ঠানে ছিল বৈশাখের হরেক রংয়ের সমারোহ, আর সেই রঙে রঙিন হয়ে উঠেছিল আটলান্টিক সিটি। বাংলা সংস্কৃতির রূপ, রস ও বৈচিত্র্যের নান্দনিক উপস্থাপনায় ‘নববর্ষ বরণ’ অনুষ্ঠানস্থল হয়ে উঠেছিল যেন একখণ্ড বাংলাদেশ, যার মাধ্যমে প্রবাসী বাঙালিরা মূলধারার লোকদের জানান দিল যে ইতিহাস ও ঐতিহ্যে কতটা সমৃদ্ধ আমাদের বাঙালি সংস্কৃতি।