মঙ্গলবার

,

২৯শে এপ্রিল, ২০২৫

কানাডার প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত মার্ক কার্নি

নিজস্ব প্রতিবেদক
ছবি: সংগৃহীত

কানাডার নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নির লিবারেল পার্টি জয় লাভ করেছে বলে জানিয়েছে কানাডিয়ান ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশন (সিবিসি)। মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে এপি।

তবে সোমবার অনুষ্ঠিত ফেডারেল নির্বাচনে তারা সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। নির্বাচনে ৩৪৩ আসনের হাউজ অব কমন্সে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে দরকার ১৭২টি আসন। ফলে পরবর্তী লিবারেল সরকার আরেকটি সংখ্যালঘু সরকার হিসেবে বিবেচিত হবে, যার অর্থ পার্লামেন্টকে দলীয় লাইন পেরিয়ে একসাথে কাজ করার উপায় খুঁজে বের করতে হবে।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, নির্বাচনে ৩৪৩ আসনের হাউজ অব কমন্সে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে দরকার ১৭২টি আসন। শেষ খবর পাওয়া নাগাদ প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নির লিবারেল পার্টি জিতেছে ১৬৯টি আসনে। দলটির নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কনজারভেটিভ পার্টি জিতেছে ১৪৪ আসনে। বিকিউ ২২, এনডিপি ৭ ও জিআরএন ১ আসন পেয়েছে।

আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আরোপ করা উচ্চ শুল্ক এবং কানাডাকে আমেরিকার স্টেট বানানোর হুমকিকে কাজে লাগিয়ে লিবারেলরা যে শক্তিশালী ম্যান্ডেট চেয়েছিল, সেটি হয়নি। তবে ক্ষমতাসীন দলের আবার ঘুরে দাঁড়ানোকে সৌভাগ্য বলে মনে করছেন কেউ কেউ।

কানাডায় প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন হাউজ অব কমন্সে সংখ্যাগরিষ্ঠার ভিত্তিতে।

দেশটির ৩৪৩টি ফেডারেল আসনে ভোটাররা কেবল তাদের নিজ নিজ এলাকার প্রতিনিধি নির্বাচন করেন।

যে দলের নেতৃত্বে হাউজ অব কমন্সে সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন অর্জিত হবে, সেই দল সরকার গঠন করবে এবং দলের নেতা হবেন প্রধানমন্ত্রী।

যদি কোনো দল নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পায়, তবে সাধারণত সর্বাধিক আসন পাওয়া দল সংখ্যালঘু সরকার গঠন করে এবং সরকার টিকিয়ে রাখতে বিরোধী দলের কিছু সদস্যের সমর্থনের ওপর নির্ভর করতে হয়।