শনিবার

,

৩১শে মে, ২০২৫

ত্বক সুস্থ ও সতেজ রাখে পানির ভারসাম্য

সুমাইয়া তাজিন সুমি
ছবি: সংগৃহীত

এখন যেমন আছে রোদের প্রকোপ, তেমনি আছে আচমকা বৃষ্টির শঙ্কা। তারপর রাস্তায় ধকল, সঙ্গে কাজের চাপ। এসবের প্রভাব ত্বকের ওপর পড়তে পারে। সচেতন থাকলে ত্বক থাকবে সুস্থ ও সতেজ। কীভাবে এই গ্রীষ্মে ত্বক সুস্থ ও সতেজ রাখা যায়, চলুন জেনে নিই।

দীর্ঘসময় রাস্তায় জ্যামে আটকে থাকলে ডিহাইড্রেশন থেকে বাঁচাতে ও স্কিনের ইলাস্টিসিটি ধরে রাখতে পানি পানের বিকল্প নেই। অফিসে পৌছে বা বাড়িতে ফিরে কয়েক মিনিটের ভেতরেই পানি পানের অভ্যাস করুন। শুধু পানি পান ভালো না লাগলে ফলের রস খেতে পারেন। এতে যেমন ডিহাইড্রেশন থেকে বাঁচা যাবে, তেমনি দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে। তবে চিনিযুক্ত বা ফ্লেভারড ড্রিংকস খাবেন না। কারণ চিনিজাতীয় খাবার কোলাজেন নষ্ট করে ত্বকে বার্ধক্যের ছাপ ফেলে। মনকে একটু বুঝিয়ে চা-কফি ও সোডাজাতীয় পানীয় বাদ দিন। ক্যাফেইনেটেড বেভারেজ ত্বকে পানিশূন্যতা তৈরি করে। দিনে অন্তত আট গ্লাস পানি পান করুন।

এই গরমে ভিটামিন-সমৃদ্ধ খাবার খান। পেঁপে বা লেবুর শরবত পান করুন। ভিটামিন-ই-র চাহিদা পূরণ করতে খাদ্যতালিকায় রাখুন চীনা বাদাম, কাঠ বাদাম বা ব্রোকলির মতো পুষ্টিকর খাবার। ভিটামিন-এ ত্বকের শুষ্কতা ও পানিশূন্যতা দূর করে। সবুজ শাকসবজি ভিটামিন-এ-এর অভাব পূরণ করে। অকাল বার্ধক্যজনিত ছাপ থেকে বাঁচার জন্য অ্যান্টি-অক্সিডেন্টসমৃদ্ধ খাবারের বিকল্প নেই। তাই এক কাপ গ্রিন-টি হতে পারে অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের উৎকৃষ্ট উৎস।

পানিশূন্যতার কারণে ত্বকে ডেডসেল বেড়ে যায়। দিনে দু’বার ফেইসওয়াশ দিয়ে মুখ পরিষ্কার করুন। এছাড়া ত্বকের যত্ন নিতে সপ্তাহে অন্তত দু’দিন স্ক্রাব ব্যবহার করুন।

নিয়মিত ত্বক ময়েশ্চারাইজার করুন। ত্বকের পানিশূন্যতা ও ঔজ্জ্বল্য ধরে রাখতে ময়েশ্চারাইজারের বিকল্প নেই। গরম ও আর্দ্র আবহাওয়া ওয়াটার বেইজড বা জেল ফর্মুলার ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন।