রবিবার

,

২৭শে এপ্রিল, ২০২৫

আমেরিকান জনগণের আস্থা হারাচ্ছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প

নিজস্ব প্রতিবেদক
ছবি: সংগৃহীত

দেশের অর্থনীতি এবং অভিবাসন সংকট মোকাবেলায় ব্যর্থতায় আমেরিকান জনগণের আস্থা হারাচ্ছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। নিউ ইয়র্ক টাইমস ও সিয়েনা কলেজের সবশেষ যৌথ জরিপে এমন তথ্য উঠে এসেছে।

সাম্প্রতিক এই জরিপে অংশ নেয়া ৬৬ শতাংশ মনে করছেন ট্রাম্প প্রশাসনে চরম বিশৃঙ্খলা চলছে। মাত্র ৪২ শতাংশ মানুষ প্রশাসন পরিচালনায় তার ওপর বিশ্বাস রাখছেন। মাত্র ৩৬ শতাংশ মনে করেন আমেরিকা সঠিক পথে রয়েছে। ট্রাম্পের স্বেচ্ছাচারিতাকেই প্রধান কারণ হিসেবে মনে করছেন বেশিরভাগ ভােটার। তারা বলছেন, নির্বাহী ক্ষমতা প্রয়োগে প্রচণ্ড আগ্রাসী হয়ে উঠেছেন প্রেসিডেন্ট।

সাম্প্রতিক আরেক জরিপেও দেখা গেছে ভূমিধস জয় পেয়ে দ্বিতীয়বার আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হওয়া ডোনাল্ড ট্রাম্পের জনপ্রিয়তা দিন দিন কমতে শুরু করেছে। ইকোনমিস্টের জনমতকারী প্রতিষ্ঠান ইউগভ দেখিয়েছে, ট্রাম্পের পদক্ষেপগুলোর রেটিং নিম্নগামী। রেটিং পয়েন্ট তালিকায় তাকে বর্তমানে ৪১ শতাংশ আমেরিকান সমর্থনের কথা জানিয়েছে। যা জানুয়ারিতে ছিল ৫০ শতাংশ।
ইউগভ-এর জরিপ অনুযায়ী, এখন প্রায় ৫৪ শতাংশ আমেরিকান মনে করেন, আমেরিকার অর্থনীতি আগের তুলনায় আরও খারাপের দিকে যাচ্ছে। জানুয়ারিতে এই সংখ্যা ছিল ৩৭ শতাংশ।

পিউ রিসার্চ সেন্টারের করা জরিপ অনুসারে, ট্রাম্পের কার্যক্রমের রেটিং ৪০ শতাংশে নেমে এসেছে। যা ফেব্রুয়ারিতে ছিল ৪৭ শতাংশ। এক্ষেত্রে একই সময়ের মধ্যে সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের রেটিং অনেকটা এগিয়ে ছিল। ২০২১ সালে তার রেটিং ছিল ৫৯ শতাংশ।

জনমত জরিপকারী প্রতিষ্ঠান গ্যালাপ গত সপ্তাহে জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্বে ফেরার পর প্রথম তিন মাসে ট্রাম্পের গড় সমর্থনের হার ৪৫ শতাংশ- যা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর আমেরিকার নির্বাচিত অন্য সকল প্রেসিডেন্টের তুলনায় কম। ফলাফলগুলো আরও দেখাচ্ছে যে, অর্থনীতির মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে ট্রাম্পের পদক্ষেপের ওপর আস্থা হারাচ্ছে আমেরিকার জনগণ।

রয়টার্সের জনমত জরিপকারী প্রতিষ্ঠান ইপসোস-এর তথ্য অনুযায়ী, জীবন যাত্রার ব্যয় কমাতে ট্রাম্পের পদক্ষেপকে সমর্থনের হার উল্লেখযোগ্যভাবে কম। এক্ষেত্রে মাত্র ৩১ শতাংশ আমেরিকান ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেওয়া পদক্ষেপে সন্তুষ্ট। নভেম্বরের নির্বাচনে মুদ্রাস্ফীতি ছিল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, তখন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতায় এলে দ্রুত দাম কমানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ট্রাম্প। জীবন যাত্রার ব্যয় সামাল দিতে গিয়ে আশাহত হচ্ছেন ভােটাররা।