জুলাই বিপ্লব পরবর্তী বাস্তবতায় রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক পরিবর্তনের ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশের অর্থনৈতিক খাতেও দেখা দিয়েছে নানামুখী চ্যালেঞ্জ। দীর্ঘদিনের অনিয়ম, রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ ও দুর্নীতির ছাপ কাটিয়ে কাজ চলছে একটি স্বচ্ছ ও টেকসই অর্থনীতি গড়ে তোলার লক্ষ সামনে রেখে। এমন বাস্তবতায় আমেরিকার নিউ ইয়র্কে এলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।
গভর্নরের আগমন উপলক্ষে শনিবার নিউ ইয়র্কের বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল আয়োজিত মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন ড. আহসান এইচ মনসুর। অতীতে রাজনৈতিক প্রভাব, পরিবারতন্ত্র ও হরিলুটের কারণে ব্যাংক খাত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে উল্লেখ করে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর সাফ জানিয়ে দেন, এখন থেকে রাজনৈতিক বিবেচনায় আর কোনো নতুন ব্যাংকের অনুমোদন দেওয়া হবে না।
বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে জানিয়ে গভর্নর বলেন, দেশের অর্থনৈতিক কাঠামোকে রাজনীতির বাইরে রাখতে হবে।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল-আইএমএফ সম্পর্কে তার অবস্থান তুলে ধরে গভর্নর মনসুর বলেন, বর্তমানে দেশে পর্যাপ্ত ডলার রিজার্ভ আছে। তাই এই মুহূর্তে আইএমএফের ঋণ না হলেও কোনো সমস্যা নেই। তবে আইএমএফের সঙ্গে সম্পর্ক অর্থের চেয়ে বড় উল্লেখ করে তিনি বলেন, সংস্থাটির টেকনিক্যাল সাপোর্ট, নীতিগত পরামর্শ ও অংশীদারত্ব বাংলাদেশের অনেক বেশি প্রয়োজন।
বর্তমান পরিবেশ বিনিয়োগের জন্য সর্বোত্তম উল্লেখ করে প্রবাসী ও বিদেশি কোম্পানিগুলোর প্রতি বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান গভর্নর।
নিউ ইয়র্কস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেটের কনসাল জেনারেল মো. নাজমুল হুদার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় ডেপুটি গভর্নর ড. মো. হাবিবুর রহমান উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে সর্বস্তরের প্রবাসী ছাড়াও অংশ নেন গণমাধ্যম কর্মীরা। আগামী ২২-২৩ এপ্রিল ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠেয় বিশ্বব্যাংকের সম্মেলনে যোগ দেবেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।