চীনা পণ্যে শুল্কের পরিমাণ আরও বাড়িয়েছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার আরোপ করা বাড়তি শুল্কের কারণে চীনের ওপর এখন আমেরিকার শুল্কের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৪৫ শতাংশে। হোয়াইট হাউসের এক ঘোষণা থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
হোয়াইট হাউস বলেছে, চীনের পাল্টা পদক্ষেপের কারণে এখন থেকে আমেরিকায় তাদের পণ্যের ওপর ২৪৫ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক ধার্য করা হবে। তারা এ পদক্ষেপকে ট্রাম্পের ‘আমেরিকা ফার্স্ট ট্রেড পলিসির’ অংশ হিসেবে উল্লেখ করেছে।
ট্রাম্প প্রশাসন অভিযোগ করেছে, চীন ইচ্ছাকৃতভাবে সামরিক, মহাকাশ ও সেমিকন্ডাক্টর শিল্পের জন্য অত্যাবশ্যকীয় উচ্চ-প্রযুক্তি উপকরণ, যেমন গ্যালিয়াম, জার্মেনিয়াম এবং অ্যান্টিমনি সরবরাহ সীমিত করছে।
সম্প্রতি, চীন ছয়টি ভারী বিরল মৃত্তিকা ধাতু ও বিরল মৃত্তিকা চুম্বকের রপ্তানি স্থগিত করেছে। এটি বিশ্বব্যাপী সরবরাহ শৃঙ্খলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ উপাদানগুলোর ওপর চীনের নিয়ন্ত্রণ আরও জোরদার করেছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, কয়েক মাস আগে চীন আমেরিকাকে গ্যালিয়াম, জার্মেনিয়াম, অ্যান্টিমনি এবং সামরিক ক্ষেত্রে ব্যবহারযোগ্য অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ উচ্চ-প্রযুক্তি উপকরণের রপ্তানি নিষিদ্ধ করেছিল। এ সপ্তাহেই চীন ছয়টি ভারী বিরল মৃত্তিকা ধাতু এবং বিরল মৃত্তিকা চুম্বকের রপ্তানি স্থগিত করেছে। এর মাধ্যমে তারা গাড়ি প্রস্তুতকারক, মহাকাশযান নির্মাণকারী, সেমিকন্ডাক্টর কোম্পানি এবং সামরিক ঠিকাদারদের কাছে সরবরাহ বন্ধ করতে চাইছে।
পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে চীন গত শুক্রবার আমেরিকার পণ্যের ওপর ১২৫ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক বাড়িয়েছে। এর আগে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প চীনা পণ্যের ওপর ১৪৫ শতাংশ শুল্ক বাড়িয়েছিলেন এবং অন্যান্য দেশ থেকে আসা পণ্যের ওপর অতিরিক্ত শুল্ক ৯০ দিনের জন্য স্থগিত করেছিলেন।
নতুন শুল্কের ব্যাপক প্রভাব থাকা সত্ত্বেও প্রশাসন জানিয়েছে, চলমান বাণিজ্য আলোচনার কারণে অন্যান্য দেশ বর্তমানে এই শুল্ক থেকে অব্যাহতি পাবে। হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, ৭৫টিরও বেশি দেশ নতুন বাণিজ্য চুক্তির বিষয়ে আলোচনার জন্য আগ্রহ দেখিয়েছে। ফলস্বরূপ, চীন ছাড়া অন্যান্য দেশের ক্ষেত্রে এই বর্ধিত শুল্ক আলোচনা চলাকালীন স্থগিত করা হয়েছে।