জুলাইয়ে গণঅভ্যুত্থানের সমর্থনে প্রবাসী বাংলাদেশিরা রেমিট্যান্স পাঠানো কমিয়ে দিয়েছিল। তবে দেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে বেড়ে যায় রেমিট্যান্সের গতিপ্রবাহ।
গত ডিসেম্বরে দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ (প্রায় ২৬৪ কোটি ডলার) রেমিট্যান্স আসে। এবার সেই রেকর্ডটিও ভেঙে দিল মার্চ মাস।
মার্চে ৩২৯ কোটি (৩ দশমিক ২৯ বিলিয়ন) ডলার রেমিট্যান্স দেশে এসেছে। আর ২০২৪ সালের মার্চ মাসে ১৯৯ কোটি ৭০ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল দেশে । সে হিসাবে গত বছরের মার্চের তুলনায় চলতি বছরের মার্চে ৬৪ দশমিক ৭ শতাংশ বেশি রেমিট্যান্স এসেছে দেশে। গত মাসে প্রবাসীরা ৩২৯ কোটি বা ৩ দশমিক ২৯ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স দেশে পাঠিয়েছেন। এর আগে এক মাসে এত বেশি রেমিট্যান্স আসেনি।
রবিবার ঈদুল ফিতরের ছুটি শেষে অফিস শুরুর প্রথম দিনে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মো. আরিফ হোসেন খান এ তথ্য জানান।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যানুযায়ী, চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম নয় মাসে (জুলাই-মার্চ) ২১ দশমিক ৭৮ বিলিয়ন ডলারের রেমিট্যান্স দেশে এসেছে। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ প্রায় ২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকা (প্রতি ডলার ১২২ টাকা হিসাবে)। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের একই সময়ে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৭ দশমিক শূন্য ৭ বিলিয়ন ডলার। সে হিসাবে চলতি অর্থবছরে প্রবাসীরা ৪ দশমিক ৭১ বিলিয়ন ডলার বেশি পাঠিয়েছেন। এক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধি হয়েছে প্রায় ২৭ দশমিক ৬ শতাংশ।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট বিভাগের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, নতুন সরকারের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই বেড়ে যায় প্রবাস আয়ের গতি।
একই সঙ্গে কমেছে হুন্ডি ও অর্থপাচার। আবার খোলাবাজারের মতোই ব্যাংকে রেমিট্যান্সের ডলারের দাম পাওয়া যাচ্ছে। এসব কারণে প্রবাসীরা বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠাতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন। তা ছাড়া ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে আরো বেশি বেড়েছে রেমিট্যান্স আসার গতিপ্রবাহ। একের পর এক রেকর্ড গড়ছে দেশ।