মায়ানমার ও থাইল্যান্ডের পর বাংলাদেশেও বড় ভূমিকম্প হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে মনে করছে ফায়ার সার্ভিস। সংস্থাটির মতে, ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট ও ময়মনসিংহ অঞ্চল ভূমিকম্পের উচ্চঝুঁকির মুখে রয়েছে। তারা ভূমিকম্প-পরবর্তী সময়ে ব্যবহারের জন্য টর্চলাইট, রেডিওসহ জরুরি প্রয়োজনীয় ব্যবহার্য সরঞ্জাম সঙ্গে রাখার পরামর্শ দিয়েছে।
শুক্রবার মায়ানমার ও থাইল্যান্ডে শক্তিশালী ভূমিকম্পে ব্যাপক হতাহতের পর শনিবার সকালে বাংলাদেশের ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ সতর্কবার্তা জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মায়ানমার ও থাইল্যান্ডের বিভিন্ন অঞ্চলে পর পর দুটি শক্তিশালী ভূমিকম্প হয়েছে। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্প দুটির মাত্রা ছিল যথাক্রমে ৭.৭ ও ৬.৪। ফলে দেশ দুটি বেশ ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। বাংলাদেশেও একই মাত্রার ভূমিকম্প হওয়ার সমূহ আশঙ্কা রয়েছে।
বিশেষত চট্টগ্রাম, সিলেট, ময়মনসিংহ ও ঢাকা অঞ্চল উচ্চঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। এমতাবস্থায় ভূমিকম্প মোকাবেলার জন্য সব পর্যায়ে পূর্বপ্রস্তুতি গ্রহণ ও সচেতনতা তৈরির জন্য ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর থেকে ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য আহবান করছে।
ঝুঁকিমুক্ত থাকতে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ন্যাশনাল বিল্ডিং কোড ২০২০ অনুযায়ী ভূমিকম্প প্রতিরোধী ভবন নির্মাণ করা : ঝুঁকিপূর্ণ ও পুরনো ভবনগুলোর সংস্কার ও শক্তিশালী করার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা; সব বহুতল ও বাণিজ্যিক ভবনে অগ্নি প্রতিরোধ ব্যবস্থা জোরদার করা; ইউটিলিটি সার্ভিসগুলো যথা—গ্যাস, পানি ও বিদ্যুতের লাইনের সঠিকতা নিশ্চিত করা। এ ছাড়া ভূমিকম্প চলাকালে ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ইত্যাদি পর্যায়ে বিভিন্ন করণীয় সম্পর্কে নিয়মিত মহড়া অনুশীলন ও প্রচারের ব্যবস্থা করা, জরুরি টেলিফোন নম্বর যেমন ফায়ার সার্ভিস, অ্যাম্বুল্যান্স, পুলিশ, হাসপাতাল ও অন্যান্য জরুরি নম্বরগুলো ব্যক্তিগত পর্যায়ের পাশাপাশি সব ভবন বা স্থাপনায় সংরক্ষণ করা এবং তা দৃশ্যমান স্থানে লিখে রাখা, ভলান্টিয়ার প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে দুর্যোগকালে কার্যকর ভূমিকা রাখা।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়েছে, জরুরি প্রয়োজনীয় ব্যবহার্য সরঞ্জামাদি যেমন—টর্চলাইট, রেডিও (অতিরিক্ত ব্যাটারিসহ), বাঁশি, হ্যামার, হেলমেট/কুশন, শুকনো খাবার, বিশুদ্ধ পানি, প্রয়োজনীয় ওষুধসামগ্রী, ফার্স্টএইড বক্স, শিশু যত্নের সামগ্রী ইত্যাদি বাসাবাড়িতে নির্ধারিত স্থানে সংরক্ষণ করা উচিত, যাতে ভূমিকম্প-পরবর্তী সময়ে আটকা পড়লে তা ব্যবহার করে বেঁচে থাকার চেষ্টা করা যায়।