মঙ্গলবার

,

২৯শে এপ্রিল, ২০২৫

ঈদযাত্রায় সড়ক দুর্ঘটনা কমাতে তরুণদের ৯ সুপারিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক
ছবি: সংগৃহীত

দেশের সড়কে গাড়ির গতিসীমা নির্ধারণসহ ঈদযাত্রায় রোডক্র্যাশ কমাতে নয় সুপারিশ করেছে ঢাকা আহসানিয়া মিশন।

তারা বলেছে, বেশিরভাগ রোডক্রাশ সংঘটিত হয় গতির কারণে। তাই দেশের সড়ক ও যানবাহনের পরিস্থিতির কথা ভেবে নিরাপদ গতি নির্ধারণ করতে হবে।

মঙ্গলবার রাজধানীর শ্যামলীতে ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন স্বাস্থ্য সেক্টরের সভাকক্ষে আহ্ছানিয়া মিশন ইয়ুথ ফোরাম ফর হেলথ এন্ড ওয়েলবিংয়ের আয়োজনে ঈদযাত্রায় রোডক্র্যাশ কমাতে তরুণদের সুপারিশ নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ সব কথা বলেন ইয়ুথ ফোরামের সমন্বয়কারী মারজানা মুনতাহা।

এ সময় তিনি ঈদযাত্রাসহ সকল সময়ে রোডক্র্যাশ কমাতে তরুণদের ৯ সুপারিশ তুলে ধরেন।

গতি নিয়ন্ত্রণ: দেশের সড়ক ও যানবাহনের উপযোগী নিরাপদ গতি নির্ধারণ ও বাস্তবায়ন করতে হবে। ঈদযাত্রায় গতিসীমা কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।

হেলমেট বাধ্যতামূলক: মোটরসাইকেল চালক ও আরোহীদের মানসম্মত হেলমেট পরা নিশ্চিত করতে হবে এবং দ্রুত এ সংক্রান্ত আইন বাস্তবায়ন করতে হবে।

ফিটনেসবিহীন গাড়ি বন্ধ: অনুপযুক্ত ও অযোগ্য যানবাহনের চলাচল কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।

চালকদের বিশ্রাম নিশ্চিত করা: চালকদের জন্য নির্দিষ্ট কর্মঘণ্টা নির্ধারণ ও বিশ্রামের সুযোগ নিশ্চিত করতে হবে। ক্লান্ত চালক যাত্রীদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ।

অনুপযুক্ত যান চলাচল বন্ধ: ঈদযাত্রায় নছিমন, করিমন, টেম্পো ও ব্যাটারিচালিত যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধ করতে হবে।

নেশাগ্রস্ত অবস্থায় গাড়ি চালানো নিষিদ্ধ: মাদক বা নেশাজাতীয় দ্রব্য সেবন করে গাড়ি চালানো নিয়ন্ত্রণে কঠোর নজরদারি ও আইন প্রয়োগ করতে হবে।

সিটবেল্ট বাধ্যতামূলক: চালকসহ সব যাত্রীর সিটবেল্ট ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে এবং দ্রুত এ সংক্রান্ত আইন প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করতে হবে।

পথচারীদের নিরাপত্তা: ফুটপাত হকারমুক্ত করতে হবে। ফুটওভারব্রিজ পথচারীবান্ধব করতে হবে। জেব্রা ক্রসিং ব্যবহার বাড়াতে সচেতনতামূলক কার্যক্রম চালাতে হবে।

সড়ক নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন: বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত ‘সেইফ সিস্টেম অ্যাপ্রোচ’ মডেলে সমন্বিত সড়ক নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করতে হবে।

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ- বিআরটিএর তথ্যমতে, গত পবিত্র ঈদুল ফিতরের পূর্ববর্তী ও পরবর্তী সময়ের রোডক্র্যাশে ১৭ দিনে দেশে ২৮৬টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৩২০ জন নিহত এবং ৪৬২ জন আহত হয়। তাই ঈদযাত্রাসহ দেশে রোডক্র্যাশের সংখ্যা কমিয়ে আনা যায়, সেই লক্ষ্যে সুপারিশগুলো বাস্তবায়নে সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।