ওয়ানডে ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন বাংলাদেশের অভিজ্ঞ ব্যাটার মুশফিকুর রহিম।
২০০৬ সালে হারারেতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে অভিষেক হয় মুশফিকের। দীর্ঘ ১৯ বছরের ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ইতি টানলেন তিনি।
এর আগে ২০২২ সালের টি-টোয়েন্টি ফরম্যাট থেকে অবসর নিয়েছিলেন মুশফিক। এবার ওয়ানডে ছাড়লেও টেস্ট ক্রিকেট চালিয়ে যাবে ৩৭ বছর বয়সী এই ব্যাটার।
২০১০ থেকে ২০১৬ সালের মধ্যে টানা সবচেয়ে বেশি ৯২টি ওয়ানডে ম্যাচ খেলার রেকর্ডের মালিক মুশফিক।
বুধবার রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ওয়ানডে থেকে অবসরের কথা জানান মুশফিক। ফেসবুকে দেওয়া পোস্টে মুশফিক লিখেন, ‘আজ আমি ওয়ানডে ফরম্যাট থেকে অবসরের ঘোষণা দিচ্ছি। সব কিছুর জন্য আলহামদুলিল্লাহ। যদিও বৈশ্বিক পর্যায়ে আমাদের অর্জন খুবই সীমিত ছিল। একটা বিষয় নিশ্চিত করে বলতে পারি-যখনই আমি দেশের জন্য মাঠে নেমেছি, নিষ্ঠা ও সততার সাথে নিজের শতভাগের বেশি দেয়ার চেষ্টা করেছি।’
তিনি আরও লিখেন, ‘গত কয়েকটি সপ্তাহ ছিল আমার জন্য খুবই চ্যালেঞ্জিং এবং আমি বুঝতে পেরেছি যে এটাই আমার নিয়তি। আল্লাহ কুরআনে ইরশাদ করেন: ‘তিনি যাকে ইচ্ছা সম্মানিত করেন এবং যাকে ইচ্ছা লাঞ্ছিত করেন (৩:২৬)। সর্বশক্তিমান আল্লাহ আমাদের ক্ষমা করুন এবং সবাইকে সঠিক ইমান দান করুন।’
‘সর্বশেষ আমি আমার পরিবার, বন্ধু এবং ভক্তদের গভীরভাবে ধন্যবাদ জানাতে চাই, যাদের জন্য আমি গত ১৯ বছর ধরে ক্রিকেট খেলতে পেরেছি। জাযাকাল্লাহ খাইরান।’
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির গ্রুপ পর্ব থেকে বাংলাদেশ ছিটকে যাবার মাত্র এক সপ্তাহ পর ওয়ানডে থেকে বিদায় নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মুশফিক। চলতি আসরে ব্যাট হাতে নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি তিনি। এছাড়াও সর্বশেষ ১০ ইনিংসে মুশফিকের ব্যাট থেকে মাত্র ১টি হাফ-সেঞ্চুরি এসেছে।
বাংলাদেশের সেরা পাঁচ খেলোয়াড়ের মধ্যে থেকে একজন হিসেবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দলকে সেরার কাতারে নিয়ে গেছেন মুশফিক।
দেশের হয়ে ২৭৪ ওয়ানডে ম্যাচে ৯টি সেঞ্চুরি ও ৪৯টি হাফ-সেঞ্চুরিতে ৩৬ দশমিক ৪২ গড়ে ৭৭৯৫ রান করেছেন মুশফিক।
উইকেটরক্ষক হিসেবে ২৪৩টি ক্যাচ এবং ৫৬টি স্টাম্পিং করেছেন মুশফিক।
বিশ্বে ২৫০-এর বেশি ওয়ানডে খেলা পাঁচ উইকেটরক্ষক-ব্যাটারের মধ্যে একজন মুশফিক। উইকেটরক্ষক হিসেবে ৭টি সেঞ্চুরি করে তালিকার চতুর্থ স্থানে আছেন তিনি। তার আগে এ তালিকায় আছেন শ্রীলংকার কুমার সাঙ্গাকারা, অস্ট্রেলিয়ার এডাম গিলক্রিস্ট এবং ভারতের মহেন্দ্র সিং ধোনি।
টেস্টে বাংলাদেশের হয়ে অনন্য এক মাইলফলকের সামনে দাঁড়িয়ে মুশফিক। আর মাত্র ৬টি টেস্ট খেললেই প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে ১শ ম্যাচ খেলার মাইলফলক স্পর্শ করবেন তিনি।