ইউক্রেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খারকিভের কয়েকটি হামলার পরদিন, দেশটির পূর্বাঞ্চলীয় শহর ক্রামাতোরস্কে রাতভর ড্রোন ও মিসাইল হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। এসব ঘটনায় এক ব্যক্তি নিহত ও অন্তত আটজন আহত হয়েছে।
রুশ ড্রোন হামলার পরিপ্রেক্ষিতে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, যুদ্ধ বন্ধের আলোচনা চাইলে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে মানুষকে লক্ষ্যবস্তু বানানো বন্ধ করুন।
এসময় ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘রাশিয়ার হামলা বন্ধ করতে বিশ্বকে আরো ঐক্যবদ্ধ ও শক্তিশালী হতে হবে।’
এদিকে ৮৩টি ড্রোনের মধ্যে ৪৬টি ভূপাতিত করার দাবি করেছে ইউক্রেন। এই হামলার পরিপ্রেক্ষিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জেলেনস্কি অভিযোগ করেন, রাশিয়া ইউক্রেনে বিমান সন্ত্রাস চালাচ্ছে।
রবিবার লন্ডনের সম্মেলনে যোগদানের পর জেলেনস্কি বলেন, ‘ইউক্রেন একটি স্বাভাবিক ও নিরাপদ জীবনের জন্য লড়াই করছে। ন্যায্য ও স্থায়ী শান্তি ইউক্রেনের প্রাপ্য।
আমরা এই যুদ্ধের অবসান চাই। কিন্তু রাশিয়া তা চায় না এবং বিমান সন্ত্রাস অব্যাহত রেখেছে। গত এক সপ্তাহে মানুষ হত্যা এবং শহর ধ্বংস করতে ইউক্রেনে এক হাজারের বেশি ড্রোন, প্রায় এক হাজার ৩০০টি বোমা এবং ২০টির বেশি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে রাশিয়া।’
আমেরিকার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে জেলেনস্কি বলেন, অবশ্যই আমরা আমেরিকার গুরুত্ব বুঝি ও তাদের কাছ থেকে আমরা যে সমর্থন পেয়েছি, তার জন্য আমরা কৃতজ্ঞ। এমন কোনো দিন নেই, যেদিন আমরা আমেরিকার এই সহায়তার জন্য কৃতজ্ঞতা অনুভব করিনি।
তিনি বলেন, অন্তহীন যুদ্ধ নয়, শান্তি দরকার। আর নিরাপত্তার নিশ্চয়তাই এই শান্তির মূল চাবিকাঠি।
ইউক্রেন আমেরিকার সঙ্গে খনিজ সম্পদ চুক্তি করতে প্রস্তুত বলে তিনি জানান।
তবে ট্রাম্পের নীতির সঙ্গে একমত—এমন শীর্ষ রিপাবলিকানরা জেলেনস্কিকে দুটি পথের একটি বেছে নিতে বলেছেন—হয় রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ নিয়ে অবস্থান বদলাতে হবে, নয়তো ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট পদ ছাড়তে হবে। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে তাঁকে সরিয়ে দেওয়া সহজ হবে না বলে মন্তব্য করেছেন জেলেনস্কি।