হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাকবিতণ্ডায় বিস্ময় প্রকাশ করেছেন বিশ্বনেতারা। এরপর ইউক্রেনের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছে ইউরোপীয় দেশগুলো। স্থানীয় সময় শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) এই অপ্রত্যাশিত ঘটনাটি ঘটেছে।
হোয়াইট হাউসের আমন্ত্রিত একজন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ট্রাম্পের এই আচরণের পর সরব হয়েছেন ইউরোপের নেতারাও। গত মাসে মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে ইউরোপের নেতাদেরও তুলোধুনা করতে দেখা গিয়েছিল আমেরিকার ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্সকে।
আগে থেকেই তার আচরণে অসন্তুষ্ট ইউরোপের নেতারা, তাই বেশ জোরে-সোরেই জেলেনস্কির পক্ষ অবলম্বন করেছেন এবার। এ ঘটনায় যুক্তরাজ্যের ডাউনিং স্ট্রিট থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে ইউক্রেনের প্রতি দেশটির প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের নিরবচ্ছিন্ন সমর্থন অব্যাহত রাখার কথা পুনর্ব্যক্ত করা হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে স্থায়ী শান্তির পথে অগ্রসর হওয়ার উপায় খুঁজে পেতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন স্টারমার।
শুক্রবার রাতে জেলেনস্কিকে সমর্থন জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকে পোস্ট দিয়েছেন। ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লেইন লিখেছেন, ‘আপনার এই ব্যক্তিত্ব ইউক্রেনের জনগণের সাহসিকতাকে সম্মানিত করেছে।’
জেলেনস্কিকে সাহসী ও নির্ভীক থাকতে অনুপ্রেরণা দিয়ে তিনি বলেন, ‘আপনি একা নন সম্মানিত প্রেসিডেন্ট, আমরা রয়েছি আপনার পাশে।’
জার্মানির সম্ভাব্য চ্যান্সেলর ফ্রেডরিখ মেরৎস এক্সে লিখেছেন, ‘প্রিয় ভলোদিমির জেলেনস্কি, ভালো-খারাপ উভয় সময়ে আমরা ইউক্রেনের পাশে আছি।’
সুইডেনের প্রধানমন্ত্রী উল্ফ ক্রিস্টারসন এক্সে লিখেছেন, ‘আপনারা শুধু নিজেদের স্বাধীনতার জন্যই নয়, সমগ্র ইউরোপের স্বাধীনতার জন্যই লড়ছেন।’
ওই পোস্টে তিনি আরও বলেন, রাশিয়ার আগ্রাসন যদি ছড়িয়ে পড়ে, তবে নর্ডিক ও বাল্টিক দেশগুলোর জন্যও ঝুঁকি তৈরি হবে। শুক্রবারের ঘটনার পর ইউক্রেনসহ অন্যান্য বিষয়ে ইউরোপীয়দের সাথে খোলাখুলি আলোচনার আহ্বান জানিয়েছেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি।
এ ছাড়াও ওভাল অফিসে ট্রাম্পের সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময়ের পর খালি হাতে হোয়াইট হাউস ছাড়লেও জেলেনস্কি নিজ দেশের জনগণের কাছ থেকে অকুণ্ঠ সমর্থন পেয়েছেন।