অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ১৬৫ রান নিয়ে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ইতিহাসে ব্যক্তিগত রানের রেকর্ড গড়েন ইংলিশ ওপেনার বেন ডাকেট। মাত্র ৩ দিনেই সেই রেকর্ড ভেঙে দিয়েছেন আফগানিস্তানের ওপেনার ইব্রাহীম জাদরান। খেলেছেন ১৭৭ রানের ইনিংস। তার এমন বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে ভর করে ইংল্যান্ডকে ৩২৬ রানের বড় টার্গেট দেয় আফগানরা।
৮ রানে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সেমিফাইনালের আশা বাঁচিয়ে রেখেছে আফগানরা। অন্যদিকে এই হারে বিদায় নিশ্চিত হয়েছে ইংলিশদের।
লাহোরে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ইংল্যান্ড পেসার জোফরা আর্চারের তোপে ৩৭ রানেই ৩ উইকেট হারায় আফগানিস্তান।
আফগানিস্তানকে লড়াইয়ে ফেরাতে চতুর্থ উইকেটে শক্ত হাতে হাল ধরেন ইব্রাহিম ও অধিনায়ক হাশমতুল্লাহ শাহিদি। ইংল্যান্ড বোলারদের উপর আধিপত্য বিস্তার করে খেলে ১২৪ বলে ১০৩ রানের জুটি গড়েন তারা। জুটিতে ৪০ রান করে স্পিনার আদিল রশিদের বলে বোল্ড হন শাহিদি।
শাহিদি ফেরার পর আফগানিস্তানের রানের চাকা সচল রাখেন ইব্রাহিম ও আজমতুল্লাহ ওমরজাই। ৩৭তম ওভারে ওয়ানডে ক্যারিয়ারে ষষ্ঠ সেঞ্চুরি তুলে নেন ইব্রাহিম।
দলের রান ২শ পার করে সাজঘরে ফিরেন ওমরজাই। দলীয় ২১২ রানে ওমরজাই আউটের পর ইংল্যান্ডের বোলারদের উপর তাণ্ডব চালিয়েছেন ইব্রাহিম ও মোহাম্মদ নবি।
শেষ ওভারের প্রথম বলে ইব্রাহিমকে থামান স্পিনার লিয়াম লিভিংস্টোন। ১২টি চার ও ৬টি ছক্কায় ১৪৬ বলে ১৭৭ রান করেন ইব্রাহিম। এছাড়াও ওয়ানডেতে আফগানিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রানের রেকর্ডও গড়েন ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস খেলা ইব্রাহিম।
শেষ ওভারের চতুর্থ বলে আউট হন নবি। ষষ্ঠ উইকেটে ইব্রাহিম ও নবির ৫৫ বলে ১১১ রানের ঝড়ো জুটিতে ৫০ ওভারে ৭ উইকেটে ৩২৫ রানের পাহাড় গড়ে আফগানিস্তান।
জবাবে ৩০ রানে ২ উইকেট পতনের পর দলকে লড়াইয়ে ফেরান বেন ডাকেট ও জো রুট। ৬৮ রানের জুটির গড়ে বিচ্ছিন্ন হন তারা। দলীয় ৯৮ রানে ডাকেট ফেরার পর ইংল্যান্ডকে সামনে টেনে নেন রুট। অধিনায়ক জশ বাটলারের সাথে পঞ্চম উইকেটে ৮৩ ও জেমি ওভারটনের সাথে সপ্তম উইকেটে ৪৩ বলে ৫৪ রানের জুটি গড়েন তিনি।
এরমধ্যে ওয়ানডেতে ১৭তম সেঞ্চুরি পূর্ণ করে দলীয় ২৮৭ রানে আউট হন রুট। ১১টি চার ও ১টি ছক্কায় ১১১ বলে ১২০ রান করেন ডান-হাতি এই ব্যাটার।
রুট ফেরার সময় জয়ের জন্য ইংল্যান্ডের দরকার পড়ে ৩ উইকেট হাতে নিয়ে ২৫ বলে ৩৯ রান। শেষ ওভারে ১৩ রানের সমীকরণও মেলাতে পারেনি ইংল্যান্ড। ১ বল বাকি থাকতে ৩১৭ রানে অলআউট হয় ইংলিশরা।
আফগানিস্তানের ওমরজাই ৫৮ রানে ৫ উইকেট নিয়ে ক্যারিয়ার সেরা বোলিং করেন।