রবিবার

,

২৩শে মার্চ, ২০২৫

রাশিয়ার সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠার ইঙ্গিত দিল আমেরিকা

নিজস্ব প্রতিবেদক
ছবি: সংগৃহীত

আমেরিকা ও রাশিয়া নতুন করে কূটনৈতিক যোগাযোগ শুরু করেছে। ওয়াশিংটন ও মস্কোতে দূতাবাস পুনরায় চালু করার পরিকল্পনা করছেন দেশ দুটি।

এবার রাশিয়ার সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্ক আবারও জোড়া লাগানোর করার ইঙ্গিত দিয়ে আমেরিকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেছেন, ইউক্রেন সংকট নিরসনের পর আমেরিকা ও রাশিয়া তাদের অর্থনৈতিক সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে পারে।

মঙ্গলবার ব্রেইটবার্টকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রুবিও বলেন, মস্কো-ওয়াশিংটন অর্থনৈতিক ও ব্যবসায়িক ক্ষেত্র নিয়ে আলোচনা করতে পারে। তবে সেটি হবে তখন, যখন দুই দেশ একে অপরের কূটনৈতিক মিশনের সুষ্ঠু কার্যক্রম পরিচালনা নিশ্চিত করবে এবং ইউক্রেন সংকট সমাধান করবে।

রুবিও বলছিলেন, আমাদের তাদের আমন্ত্রণ জানাতে হবে এবং দেখতে হবে। ঠিক আছে, যদি আপনারা এই জিনিসটি (ইউক্রেন যুদ্ধ) শেষ করার বিষয়ে সিরিয়াস হন, তবে আসুন আমরা বসে এটি সম্পর্কে কথা বলি। আমি মনে করি তৃতীয় ধাপ হচ্ছে, যদি আমরা এই সংঘাতের অবসান ঘটাতে পারি তবে একবিংশ শতাব্দীতে মার্কিন-রাশিয়া সম্পর্ক কেমন হবে? এমন কিছু কি আছে, যা নিয়ে আমরা ভূ-রাজনৈতিকভাবে বা এমনকি অর্থনৈতিকভাবেও একসাথে কাজ করতে পারি?

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ২০২৩ সালে একটি ডিক্রিতে সই করে ‘অবন্ধুসুলভ’ দেশগুলো থেকে রাশিয়াভিত্তিক বিদেশি কোম্পানিগুলোর সম্পদ সাময়িকভাবে অধিগ্রহণের অনুমতি দেয়। ২০২৪ সালের অক্টোবরে রাশিয়া সাময়িকভাবে মার্কিন মালিকানাধীন প্রধান খাদ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান গ্লাভপ্রোডাক্টের সম্পদ জাতীয়করণ করে।

তবে জো বাইডেনের শাসনামলে আমেরিকা-রাশিয়া সম্পর্ক ঐতিহাসিক তলানিতে নেমে গেলেও তার উত্তরসূরি ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্পর্ক পুনঃস্থাপনে আগ্রহের ইঙ্গিত দিয়েছেন। চলতি মাসের শুরুর দিকে সৌদি আরবে দুই পক্ষের মধ্যে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হয়, যেখানে ইউক্রেন সংঘাত নিরসন ও দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের পথ প্রশস্ত করার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।

ট্রাম্প তখন থেকে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, ওয়াশিংটন মস্কোর খনিজ খাতে যৌথ উদ্যোগ খুঁজতে করতে পারে। সেই সঙ্গে তিনি পরামর্শ দিয়েছিলেন, ইউক্রেন সংঘাত নিষ্পত্তি প্রক্রিয়ার অংশ হিসাবে মস্কোর উপর দেওয়া নিষেধাজ্ঞাগুলো এক পর্যায়ে প্রত্যাহার করা যেতে পারে।

রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনও বলেছেন, রাশিয়া ও আমেরিকা ‘বড় ধরনের’ যৌথ অর্থনৈতিক প্রকল্প নিয়ে আলোচনা করছে। মস্কো তাদের বিরল শিল্পগুলোর বিকাশের জন্য আমেরিকান বেসরকারি কোম্পানি এবং সরকারি সংস্থাগুলোর সাথে সহযোগিতা করতে উন্মুক্ত।