শনিবার

,

২২শে মার্চ, ২০২৫

গণঅভ্যুত্থানের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে পদত্যাগ করেছি: নাহিদ

নিজস্ব প্রতিবেদক
ছবি: সংগৃহীত

অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম পদত্যাগ করেছেন। মঙ্গলবার দুপুরে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন তিনি। একইসঙ্গে তিনি সরকারের যেসব কমিটিতে ছিলেন, সেসব কমিটি থেকেও পদত্যাগ করেছেন।

পরে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন নাহিদ ইসলাম।
জুলাই অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষাপূরণে রাজপথে বেশি ভূমিকা পালনে উপদেষ্টার পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন বলে সংবাদ সম্মেলনে তিনি দাবি করেন।

নাহিদ বলেন, ‘আমি পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছি। গেল ছয় মাসে আমি আমার জায়গা থেকে কাজ করে যাওয়ার চেষ্টা করেছি। দুটি মন্ত্রণালয়ের বাইরেও অনেক অতিরিক্ত দায়িত্ব আমাকে পালন করতে হয়েছে আমাকে। আমরা চেষ্টা করেছি। মন্ত্রণালয়গুলোতেও আমরা কিছু কাজ করেছি, সেই কাজের ফলাফল হয়ত জনগণ পাবে।’

‘ছয়মাস খুবই কম সময়, তবুও আমি চেষ্টা করেছি, আমার কাজ ও তার ফল জনগণ মূল্যায়ন করবে। আজ থেকে মূলত আমি সরকারের কোনো দায়িত্বে নেই,’ যোগ করেন তিনি।

এই ছাত্রনেতা আরও বলেন, ‘নিজের জায়গা থেকে মনে করেছি, আমার বাইরে থাকা দরকার। এখনো গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়ন হয়নি। বিচার ও সংস্কারের যে প্রতিশ্রুতি নিয়ে এ সরকার গঠন করা হয়েছিল, সেটা পূরণে এখনো দুজন ছাত্র উপদেষ্টা রয়েছেন। তারা মনে করছেন, এখনো সরকারে তাদের দায়িত্ব রয়েছে। তারা সরকারে থেকেই জনগণকে সেবা দেবে। রাজনীতিতে প্রয়োজনবোধ করলে তারা সরকার ছেড়ে দেবে।’

‘নতুন যে রাজনৈতিক শক্তি ও দল গঠিত হচ্ছে, তাতে অংশগ্রহণের অভিপ্রায় আমার আছে। জনগণের সঙ্গে মিশে জনগণকে ফের ঐক্যবদ্ধ করা, আমাদের যে গণঅভ্যুত্থানের প্রতিশ্রতি বাস্তবায়নে মাঠে থাকার লক্ষ্যেই আমি পদত্যাগ করেছি।’

সরকারে থেকে যতদিন দায়িত্ব পালন করেছেন, তাতে কোনো ব্যর্থতা ছিল কিনা; প্রশ্নে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এই নেতা আরও বলেন, ‘আমাদের কিছু সীমাবদ্ধতা ছিলই, সেগুলো কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করেছি সবসময়। আমলাতান্ত্রিক জটিলতা ছিল।’

‘আমরা এসে আমলাতন্ত্রকে যেভাবে পেয়েছি, পুলিশের আত্মবিশ্বাসের ঘাটতি ছিল, জুলাই গণহত্যাকারীদের গ্রেফতার ও বিচারের বিষয়ে আমাদের কিছু সীমাবদ্ধতা ছিল, তবে আমরা কাজ করেছি। জনপ্রশাসনের একটি কমিটিতে দুসপ্তাহ ছিলাম। তাতে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, ২০১৮ সালে যারা ডিসি ছিলেন, দুর্নীতির সাথে জড়িত ছিলেন, তাদের সরানোর উদ্যোগ নিয়েছি,’ বলেন নাহিদ ইসলাম।