আমেরিকার সিনেট ৫১-৪৯ ভোটে ফেডারেল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই)-এর পরবর্তী প্রধান হিসেবে ট্রাম্পের মনোনীত প্রার্থী ক্যাশ প্যাটেলকে নিশ্চিত করেছে। যদিও রিপাবলিকান সিনেটরদের মধ্যে সুযান কলিন্স এবং লিসা মুরকোভস্কি প্যাটেলের বিরুদ্ধে ভোট দেন।
বৃহস্পতিবার সিনেটে ক্যাশ প্যাটেলকে এফবিআই-এর পরিচালক হিসেবে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। তার যোগ্যতা এবং উদ্বেগ নিয়ে ডেমোক্র্যাটদের সন্দেহ থাকা সত্ত্বেও তাকে দেশের শীর্ষ ফেডারেল আইন প্রয়োগকারী সংস্থার শীর্ষে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তিনি ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিডিং পালন করবেন এবং রিপাবলিকান প্রেসিডেন্টের প্রতিপক্ষদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবেন বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হচ্ছে।
প্যাটেল এফবিআই-তে বড় ধরনের পরিবর্তন আনার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন, যার মধ্যে রয়েছে ওয়াশিংটনে কর্মী সংখ্যা হ্রাস করা এবং গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহের কাজের পরিবর্তে ব্যুরোর ঐতিহ্যবাহী অপরাধ-প্রতিরোধী দায়িত্বের উপর নতুন করে জোর দেওয়া, যা গত দুই দশক ধরে জাতীয় নিরাপত্তা হুমকি বৃদ্ধির সাথে সাথে এর কার্যনির্বাহী হয়ে উঠেছে।
ভারতীয় বংশোদ্ভূত ৪৪ বছর বয়সী ক্যাশ প্যাটেলের জন্ম নিউ ইয়র্কে। তাঁর পরিবার পূর্ব আফ্রিকা থেকে কানাডার পথে গিয়েছিল আমেরিকায়। সেই থেকেই প্যাটেল পরিবারের বসবাস আমেরিকায়।
প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে ক্যাশ প্যাটেল জাতীয় গোয়েন্দা পরিচালক ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর উপদেষ্টার ভূমিকা পালন করেছিলেন। এর আগে তিনি এফবিআইর ভূমিকা বদলানোর প্রস্তাব রেখেছেন এবং মত দিয়েছেন, ট্রাম্পের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সমর্থন না জানালে যেকোনো কর্মীকে এই সংস্থা থেকে বহিষ্কার করা উচিত।
নির্বাচনে জয়ের পর ট্রাম্প তার একটি পোস্টে লিখেছেন, “ক্যাশ একজন উজ্জ্বল আইনজীবী, তদন্তকারী এবং ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ যোদ্ধা যিনি তার কর্মজীবন দুর্নীতির প্রকাশ, ন্যায়বিচার রক্ষা এবং আমেরিকান জনগণকে রক্ষা করার জন্য ব্যয় করেছেন।”
ট্রাম্প বলেছেন, ‘ক্যাশ আমার প্রথম মেয়াদে একটি অবিশ্বাস্য কাজ করেছে।’ তিনি আমেরিকাতে ক্রমবর্ধমান অপরাধের মহামারী শেষ করতে, অভিবাসী অপরাধী চক্রগুলিকে ধ্বংস করতে এবং সীমান্তের ওপারে মানব ও মাদক পাচারের দুষ্ট দুর্যোগ বন্ধ করতে কাজ করবেন।