দক্ষিণ কোরিয়ায় বাংলাদেশির সংখ্যা বেড়েই চলেছে। প্রায় ৩০ হাজারের বেশি প্রবাসী দেশটিতে বসবাস করছেন। অন্যান্য দেশের তুলনায় এশিয়ার সমৃদ্ধ দেশটিতে নিয়ম-নীতিতে কঠোরতা এবং ভিন্নতাও থাকলেও বাংলাদেশি শ্রমিক-ব্যবসায়ী-শিক্ষার্থীরা তাদের কর্মদক্ষতার প্রমাণ দিচ্ছে দেশটির অর্থনীতিতে।
দক্ষিণ কোরিয়া সরকার প্রবাসীদের সর্বাত্মক সেবা দানে আন্তরিক। সেখানে ছুটির দিনেও বিদেশিদের জন্য ব্যাংক-হাসপাতালসহ বিভিন্ন জরুরি সেবার প্রায় সবকিছুই খোলা রাখা হয়। কারণ কোরিয়ান কোম্পানিগুলো সব সময় ব্যস্ত থাকায় সাপ্তাহিক কর্মঘণ্টায় এসব সেবা নেওয়া অনেকটা কষ্টসাধ্য হয়ে যায় বিদেশিদের জন্য।
দক্ষিণ কোরিয়ায় অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস ছুটির দিনে বন্ধ থাকে। প্রবাসীদের সেবায় মাসে অন্তত একটা ছুটির দিনে দূতাবাসের সেবা কার্যক্রম চালানোর অনুরোধ জানিয়ে আসছে প্রবাসী বাংলাদেশিরা।
কোরিয়ান কোম্পানিগুলিতে যেখানে কাজের সময় হাসপাতালেও যাওয়ার অনুমতি মেলে না অনেক কোম্পানিতে, সেখানে পাসপোর্টসহ অন্যান্য জরুরি কাজের জন্য দূতাবাসে যাওয়ার ছুটি পাওয়া কঠিন। একাধিক অনুরোধে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বিনা বেতনে ছুটি নিতে হয়। কোনো কোনো কোম্পানিতে একদিন ছুটি কাটালে দুইদিনের বেতন কেটে নেয়া হয় এবং এটাই নিয়ম কোরিয়াতে।
ফিলিপাইনসহ আরও কয়েকটা দূতাবাস তাদের দেশের কর্মীদের সেবা দেওয়ার জন্য ছুটির দিনে খোলা থাকলেও বাংলাদেশ দূতাবাস যেন এই বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না।
প্রবাসী বাংলাদেশিদের প্রত্যাশা, তাদের সেবায় দক্ষিণ কোরিয়ার অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস প্রতি মাসে অন্তত একটি ছুটির দিনে সেবা দেওয়ার বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেবেন।