আমদানি পণ্যে শুল্ক আরোপ ছিল ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাচনি প্রতিশ্রুতি। এবার তিনি ঘোষণা দিলেন গাড়ি, ওষুধ ও সেমিকন্ডাক্টর পণ্য আমদানিতে ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করবেন। গত মঙ্গলবার এ কথা জানিয়েছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট।
বিশ্লেষকরা বলছেন, একের পর এক এভাবে শুল্ক আরোপের ফলে হুমকির মুখে পড়বে বিশ্ববাণিজ্য।
এর আগে আমেরিকার গণমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল তাদের সম্পাদকীয়তে ট্রাম্পের এই শুল্ক আরোপকে ‘ইতিহাসের সবচেয়ে বোকা বাণিজ্য যুদ্ধ’ বলে অভিহিত করেছে।
ডোনাল্ড ট্রাম্প এ পর্যন্ত শুল্ক আরোপের যেসব পদক্ষেপ নিয়েছেন তার মধ্যে এটিই সর্বশেষ।
শুক্রবার ট্রাম্প জানিয়েছেন, আগামী ২ এপ্রিল থেকে গাড়ি আমদানিতে অতিরিক্ত শুল্কনীতি বাস্তবায়ন করবেন। বিশ্ববাণিজ্য পুনর্গঠনের প্রক্রিয়া হিসেবে এভাবে শুল্কনীতি গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। শিগগিরই ট্রাম্পের মন্ত্রিসভার সদস্যরা বিভিন্ন পণ্যের আমদানিতে শুল্কের বিকল্প তুলে ধরে প্রতিবেদন জমা দেবেন বলে উল্লেখ করেছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
গাড়ি, ওষুধ ও সেমিকন্ডাক্টর পণ্য আমদানিতে শুল্ক আরোপ করা হলে বিপাকে পড়বে ইউরোপের বাজার। তাই বুধবার ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে এক বৈঠকে মিলিত হওয়ার কথা ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) বাণিজ্যবিষয়ক প্রধান মারোস সেফকোভিচের।
যদি সকল দেশের উপর শুল্ক আরোপ করা হয়, তাহলে বিষয়টি জাপানের জন্য একটি বড় ধাক্কা হবে। কারণ, আমেরিকায় প্রধান গাড়ি রপ্তানিকারক দেশ হলো জাপান।
জাপানের গাড়ি উৎপাদনকারী সমিতি তথ্যমতে, দেশটি ২০২৩ সালে আমেরিকায় ১৪ লক্ষ ৮০ হাজার গাড়ি রপ্তানি করেছে।