রবিবার

,

২৩শে মার্চ, ২০২৫

আত্মপ্রকাশ করলো নতুন রাজনৈতিক দল বিএসডিপি

নিজস্ব প্রতিবেদক
ছবি: সংগৃহীত

‘ক্ষমতায় জনগণ’ স্লোগান নিয়ে আত্মপ্রকাশ করল নতুন রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টি (বিএসডিপি)। দলটির চেয়ারম্যান ড. প্রকৌশলী বিভূতি রায়।

মঙ্গলবার রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে দলটির আত্মপ্রকাশ উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে বিএসডিপি’র চেয়ারম্যান বলেন, আমাদের লক্ষ্য একটি গণতান্ত্রিক, ন্যায়ভিত্তিক ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠন, যেখানে প্রতিটি নাগরিক সমান সুযোগ ও মর্যাদা লাভ করবে। বাংলাদেশের জনগণের দীর্ঘদিনের আকাঙক্ষা-একটি কল্যাণকর রাষ্ট্র, যেখানে গণতন্ত্র, সামাজিক ন্যায়বিচার, অর্থনৈতিক সমতা ও মানবাধিকার বাস্তবায়িত হবে। আমরা এই আকাঙক্ষাকে বাস্তবায়ন করতেই রাজনীতির নতুন ধারা শুরু করছি।

তিনি আরও বলেন, আমাদের লক্ষ্য হলো বাংলাদেশকে এমন একটি জাতিতে রূপান্তর করা যেখানে প্রতিটি ব্যক্তির উন্নতি, অংশগ্রহণ এবং দেশের সার্বিক উন্নয়নে অবদান রাখার সুযোগ থাকবে। আমাদের উদ্দেশ্য বাংলাদেশের জন্য একটি সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে ঐক্য, অন্তর্ভুক্তি এবং অগ্রগতি বৃদ্ধি করা ও একটা উন্নত দেশ হিসাবে বিশ্বের দরবারে দাঁড় করানো। এ সময় সংগঠনটির ১০ দফা উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য ঘোষণা করা হয়।

দফাগুলো হলো-

১. গণতন্ত্রের শক্তিশালীকরণ সত্যিকারের অংশগ্রহণমূলক ও স্বচ্ছ গণতন্ত্র নিশ্চিত করা। ভোটের মালিকানা সর্বখানিক নিশ্চিত করা ভোট ফেরতের মাধ্যমে নির্বাচিত ব্যক্তির সঙ্গে স্থানীয় জনগণের প্রতিনিধি অন্তর্ভুক্ত।

২.এমপ্লয়মেন্ট ফার্স্ট- কর্মক্ষম ব্যক্তিকে কর্মসংস্থান অদক্ষ যুবসমাজকে কর্মক্ষম করা।

৩.সবার জন্য স্বাস্থ্য-বৈষম্যহীন সহজলভ্য এবং ন্যায়সঙ্গত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা।

৪. কর্মমুখী শিক্ষা- কর্মমুখী পেশা আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষা বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ।

৫. শ্রমিকদের অধিকার ও অর্থনৈতিক সমতা ন্যায্য মজুরি, নিরাপদ কাজের পরিবেশ এবং ইউনিয়ন করার অধিকার সহ শ্রম অধিকারকে শক্তিশালী করা।

৬. পরিবেশ সুরক্ষা ও জলবায়ু ন্যায়বিচার টেকসই উন্নয়নের জন্য পরিবেশবান্ধব নীতি গ্রহণ, নবায়নযোগ্য শক্তির প্রসারের মাধ্যমে নিজস্ব বৈদ্যুতিক শক্তি উৎপাদন।

৭. নারী ও শিশু অধিকার নারীর ক্ষমতায়ন ও শিশুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।

৮. দুর্নীতির ও স্বজনপ্রীতির বিরুদ্ধে লড়াই রাষ্ট্রের প্রতিটি স্তরে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠা নির্বাচিত ব্যক্তি ও জনপ্রতিনিধির সমন্বয়ে।

৯.সামাজিক ন্যায়বিচার- ধনী-গরিব বৈষম্য দূর করে সব নাগরিকের জন্য সমান সুযোগ সৃষ্টি করা।

১০. প্রযুক্তিতে অ্যাক্সেস এবং ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তি ডিজিটাল দক্ষতা বৃদ্ধি, সাশ্রয়ী মূল্যের এবং নির্ভরযোগ্য ইন্টারনেট অ্যাক্সেস, ডিজিটাল বিভাজন দূর। অনুষ্ঠানে নবগঠিত দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।