রাশিয়ার বিরুদ্ধে প্রতিরক্ষার জন্য ইউরোপীয় সশস্ত্রবাহিনী গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
শনিবার জার্মানির মিউনিখে নিরাপত্তা সম্মেলনে রাখা বক্তব্যে জেলেনস্কি বলেন, আমেরিকা হয়তো ইউরোপের সহায়তায় আর এগিয়ে আসবে না।
জেলেনস্কি বলেন, শনিবার এই সম্মেলনে আমেরিকার ভাইস প্রেসিডেন্ট স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন, ইউরোপ ও আমেরিকার মধ্যে কয়েক দশকের পুরোনো সম্পর্কের অবসান হচ্ছে। তাই ইউরোপকে পরিবর্তিত পরিস্থিতির সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে হবে বলে জানান ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট।
তিনি বলেন, চলুন বাস্তবতা মেনে নেই। এখন ইউরোপ নিরাপত্তা ঝুঁকির মধ্যে পরলে আমেরিকা যে মুখ ফিরিয়ে নিতে পারে, এই আশঙ্কা উড়িয়ে দিতে পারি না আমরা। অনেক নেতাই বলেছেন, ইউরোপের নিজস্ব সেনাবাহিনী গঠন জরুরি।
সম্প্রতি রুশ প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির পুতিনের সঙ্গে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ফোনালাপের পর কিয়েভ উদ্বেগ প্রকাশ করে যে, ইউক্রেনকে বাদ রেখেই যুদ্ধ বন্ধের আলোচনা এগিয়ে চলছে।
বক্তব্যের একপর্যায়ে তিনি অভিযোগ তোলেন, বিশ্বকে ‘টুকরো টুকরো’ করার ষড়যন্ত্র করছে পুতিন।
তিনি আরও অভিযোগ করেন, ‘মনে হচ্ছে, এ মুহূর্তে ন্যাটোর সবচেয়ে প্রভাবশালী সদস্য আসলে পুতিন। কারণ, তার ইচ্ছার ওপর নির্ভর করে ন্যাটোর সিদ্ধান্ত বদলে যেতে পারে।’
ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে পুতিনের পক্ষ থেকে দুটি শর্ত দেওয়া হয়েছিল। সেগুলো হচ্ছে—ইউক্রেনকে ন্যাটো সদস্যপদের আশা ছাড়তে হবে এবং যুদ্ধে রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে চলে যাওয়া ইউক্রেনের চার অঞ্চল থেকে ইউক্রেনীয় সেনাদের প্রত্যাহার করে নিতে হবে।
পুতিনের সঙ্গে ফোনালাপ শেষে এই দুটি শর্তই মেনে নেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন ট্রাম্প।