শনিবার

,

২২শে মার্চ, ২০২৫

বিশ্বব্যাপী আমেরিকান দূতাবাসে কর্মী কমাবে ট্রাম্প প্রশাসন

নিজস্ব প্রতিবেদক
ছবি: সংগৃহীত

বিভিন্ন দেশে আমেরিকার দূতাবাস থেকে কর্মী কমানো হবে বলে জানিয়েছে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন। বৃহস্পতিবার নির্ভরযোগ্য সূত্র থেকে পাওয়া এ তথ্য প্রকাশ করেছে রয়টার্স। আমেরিকার কূটনীতিকদের বহরকে ঢেলে সাজানোর যে প্রচেষ্টা দেশটির প্রেসিডেন্ট হাতে নিয়েছেন, এটি তারই অংশ বলে মনে করা হচ্ছে।

সূত্র জানিয়েছে, কিছু দূতাবাসে আমেরিকার কর্মী এবং স্থানীয়ভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মীদের ১০ শতাংশ হারে কমানোর জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার নাগাদ দূতাবাসের কর্মীদের একটি তালিকা আমেরিকার পররাষ্ট্র দপ্তরে পাঠানোর কথা রয়েছে। এরপর সেখান থেকে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

ন্যাশনাল মিউজিয়াম অব আমেরিকান ডিপ্লোমেসির তথ্য অনুযায়ী, বিভিন্ন দেশে আমেরিকার দূতাবাসগুলোয় দেশটির কূটনীতিক ও স্থানীয় কর্মীদের নিয়োগ দেওয়া হয়। দূতাবাসগুলো যে দেশে অবস্থিত, সেই দেশ থেকেই বেশির ভাগ কর্মী নেওয়া হয়।

আমেরিকার একজন কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, আমেরিকার পররাষ্ট্র দপ্তরের গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও শ্রম ব্যুরোয় বিগত সপ্তাহগুলোতে প্রায় ৬০টি কনট্রাক্টরের (চুক্তিভিত্তিক কর্মী) চুক্তি বাতিল করা হয়েছে। দপ্তরের অন্য ব্যুরোগুলোতেও এ ধরনের আরও কাটছাঁটের আশঙ্কা রয়েছে।

বুধবার এ–সংক্রান্ত একটি নির্বাহী আদেশে সই করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাতে ট্রাম্পের পররাষ্ট্র নীতিবিষয়ক এজেন্ডা ‘বিশ্বস্ততার সঙ্গে এবং কার্যকরভাবে বাস্তবায়ন’ নিশ্চিত করার জন্য পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওকে পররাষ্ট্র পরিষেবা নতুন করে সাজানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

গত ২০ জানুয়ারি প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ গ্রহণের পরই আমেরিকার সরকারি ব্যয় কমানোর ওপর নজর দিয়েছেন ট্রাম্প। এই পদক্ষেপের পেছনে ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ মিত্র ইলন মাস্কের ইশারা রয়েছে। আমেরিকার সরকারি দক্ষতা বিভাগের (ডিওজিই) দায়িত্ব পেয়েছেন মাস্ক। এই বিভাগের মাধ্যমে সরকারি ব্যয় সংকোচনের লক্ষ্যে কাজ করছেন তিনি।