শনিবার

,

২২শে মার্চ, ২০২৫

আমেরিকার গোয়েন্দা প্রধান হিসেবে শপথ নিলেন তুলসি গ্যাবার্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক
ছবি: সংগৃহীত

তুলসী গ্যাবার্ড স্থানীয় সময় বুধবার বিকেলে আমেরিকার জাতীয় গোয়েন্দা পরিচালক হিসেবে শপথ গ্রহণ করেছেন।

দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মনোনীত ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্সের ডিরেক্টর পদে তুলসি গ্যাবার্ডকে চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে সিনেট।

এর আগে, বুধবার সিনেটরদের ৫২-৪৮ ভোটে তার অনুমোদন চূড়ান্ত হয়। জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার পরিচালক হিসেবে তুলসী গ্যাবার্ডের নিয়োগ একসময় সন্দেহের মুখে পড়েছিল। ভোটের মধ্যদিয়ে গ্যাবার্ডের যোগ্যতা ও তার বিতর্কিত জাতীয় নিরাপত্তা মতাদর্শ নিয়ে দুই মাসের দীর্ঘ সিনেট বিতর্কের অবসান হলো।

গোয়েন্দা প্রধান হিসেবে গ্যাবার্ড প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের দৈনিক গোয়েন্দা ব্রিফিং প্রস্তুত করা এবং ভার্জিনিয়ার ম্যাকলিনে অবস্থিত জাতীয় গোয়েন্দা পরিচালকের অফিসে (ওডিএনআই) প্রায় ১,৭৫০ কর্মী পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করবেন। তিনি আমেরিকার ১৮টি গোয়েন্দা সংস্থার কার্যক্রমেরও তত্ত্বাবধান করবেন।

ট্রাম্প গোয়েন্দা প্রধান হিসেবে গ্যাবার্ডকে বেছে নিয়েছেন কারণ তিনি তাকে একজন প্রথাবিরোধী ও ওয়াশিংটনের স্থায়ী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে লড়াই করার মতো নেতা মনে করেন। একই কারণে ট্রাম্প সাবেক ফক্স নিউজ উপস্থাপক পিট হেগসেথকে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী হিসেবে মনোনীত করেছিলেন।

রিপাবলিকানদের মধ্যে কিছু সন্দেহ থাকা সত্ত্বেও সিনেট ইন্টেলিজেন্স কমিটির চেয়ারম্যান টম কটন (আরকানসাস) তার জন্য শক্ত সমর্থন জোগান। তিনি জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ে জিওপি-র মধ্যে অত্যন্ত সম্মানিত কণ্ঠস্বর। তিনি গ্যাবার্ডের সামরিক বাহিনীতে দীর্ঘদিনের সেবার কথা উল্লেখ করে তার দেশপ্রেম ও যোগ্যতার প্রতি সহকর্মীদের আস্থা রাখতে বলেন।

গ্যাবার্ড ২০১৭ সালে গোপনে সিরিয়ার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের সাথে সাক্ষাৎ করতে গিয়েছিলেন। যা তার বিরুদ্ধে বড় সমালোচনার কারণ হয়। এছাড়াও, তিনি বিদেশি গোয়েন্দা নজরদারি আইন (এফআইএসএ) এর সেকশন ৭০২ বাতিলের পক্ষে ছিলেন যা দৈনিক গোয়েন্দা প্রতিবেদনের ৬০% তথ্য সংগ্রহের অনুমতি দেয়।

এছাড়া তিনি অতীতে রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণের পক্ষে যুক্তি দেওয়ার মতো বক্তব্য দিয়েছিলেন। যেমন তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছিলেন যে বাইডেন প্রশাসন যদি ইউক্রেনকে ন্যাটো সদস্য করার বিষয়ে রাশিয়ার নিরাপত্তা উদ্বেগ মেনে নিত, তবে যুদ্ধ এড়ানো যেত।

রিপাবলিকানদের মধ্যে কিছু সংশয় থাকা সত্ত্বেও গ্যাবার্ড সিনেটের চূড়ান্ত ভোটে উত্তীর্ণ হয়েছেন। তাই তিনিই আমেরিকার শীর্ষ গোয়েন্দা কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।