বাংলাদেশ নারী দলের খেলোয়াড় সোহেলী আক্তারকে সব ধরনের প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেট থেকে পাঁচ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করেছে আইসিসি।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এক বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বিশ্ব ক্রিকেটে সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা। ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর শুরু হয়ে গেছে।
২০২৩ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় মেয়েদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ম্যাচে দুর্নীতির চেষ্টার অভিযোগ আনা হয়েছিল তাঁর বিরুদ্ধে।
৩৬ বছর বয়সী সোহেলী আইসিসির দুর্নীতিবিরোধী নীতিমালার পাঁচটি ধারা ভেঙেছেন বলে এই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
নীতিমালার ২.১.১ ধারা (আন্তর্জাতিক ম্যাচ পাতানো), ২.১.৩ ধারা (ম্যাচ পাতানো বা স্পট ফিক্সিংয়ের উদ্দেশ্যে ঘুষ নেওয়া), ২.১.৪ ধারা (অন্য কাউকে প্ররোচিত করা), ২.৪.৪ ধারা (ফিক্সিংয়ের প্রস্তাবের কথা আইসিসির দুর্নীতি দমন ইউনিটকে অবহিত না করা) এবং ২.৪.৭ ধারায় (আইসিসির দুর্নীতি দমন ইউনিটের তদন্তে বাধা তৈরি করা) অভিযুক্ত হয়েছেন তিনি।
সোহেলী ২০২৩ সালের মেয়েদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দলে ছিলেন না। তবে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বাংলাদেশের ম্যাচের আগে সতীর্থ লতা মণ্ডলকে মেসেঞ্জারে ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব দেন তিনি। একই সঙ্গে মোটা অঙ্কের অর্থের প্রলোভনও দেখান সোহেলী। যদিও ওই প্রস্তাবে রাজি হননি লতা। এরপর দুজনের কথোপকথনের অডিও প্রকাশ হলে বেশ হইচই হয় দেশের ক্রিকেটে।
এই তথ্য টিম ম্যানেজমেন্টের সহযোগিতায় আইসিসির দুর্নীতি দমন ইউনিটকে (এসিইউ) জানান লতা। এরপর সোহেলীর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে এসিইউ। দুই বছর তদন্ত শেষে এই নিষেধাজ্ঞার খবর এলো। যদিও অভিযুক্ত হওয়ার আগে থেকে ক্রিকেট মাঠে দেখা যায়নি সোহেলীকে।