সাবেক সেক্রেটারি অভ স্টেট অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন ও সাবেক ন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যাডভাইজার জ্যাক সুলিভানের নিরাপত্তা ছাড়পত্র প্রত্যাহার করেছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
জো বাইডেনের নিরাপত্তা ছাড়পত্র বাতিলের একদিন পরই এসেছে এই ঘোষণা।
এ ছাড়াও বাইডেনের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল লিসা মনাকোর নিরাপত্তা ক্লিয়ারেন্স বাতিল করেছেন ট্রাম্প। ট্রাম্প সমর্থকদের ইউএস ক্যাপিটলে হামলার বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়ায় ডিপার্টমেন্ট অভ জাস্টিসকে সাহায্য করেছিলেন তিনি।
যাঁদের নিরাপত্তা ছাড়পত্র থাকে, তাঁরা সরকারের প্রবেশ সীমিত থাকা জায়গাগুলোতেও প্রবেশ করতে পারেন। আর আমেরিকার রীতি অনুযায়ী, দায়িত্ব ছাড়ার পরও সাবেক প্রেসিডেন্টরা কিছু গোয়েন্দা তথ্য পান।
“জো বাইডেনের গোপনীয় তথ্য পাওয়ার সুবিধা অব্যাহত রাখার কোনো দরকার নেই। জো, ইউ আর ফায়ারড,” সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে এমনটাই লিখেছেন ট্রাম্প।
শুক্রবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় দেওয়া পোস্টে ট্রাম্প বলেন, “এই নজির ২০২১ সালেই সৃষ্টি হয়েছিল যখন সে (বাইডেন) গোয়েন্দা সংস্থাকে নির্দেশ দিয়েছিল ৪৫তম প্রেসিডেন্টকে (আমি) জাতীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত তথ্যে প্রবেশাধিকার না দিতে, সাবেক প্রেসিডেন্টরা সাধারণত এ সম্মানটুকু পায়।”
আমেরিকার সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন ও সাবেক জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভানের নিরাপত্তা ছাড়পত্রও প্রত্যাহার করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। শনিবার হোয়াইট হাউসের কর্মকর্তারা এ খবর দিয়েছেন।
ট্রাম্প এরই মধ্যে অর্ধশত সাবেক গোয়েন্দা কর্মকর্তার নিরাপত্তা ছাড়পত্র বাতিল করেছেন, এই কর্মকর্তারা ২০২০ সালের নির্বাচনে বাইডেনের হয়ে কাজ করেছিলেন বলেও অভিযোগ তার।
দেশটির নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা ধারণা করছেন, ট্রাম্পের এই পদক্ষেপগুলো ওয়াশিংটনে উত্তেজনা আরও বাড়াবে, কারণ সাধারণত সাবেক প্রেসিডেন্টরা জাতীয় নিরাপত্তা এবং পররাষ্ট্র নীতির বিষয়ে বর্তমান প্রেসিডেন্টকে পরামর্শ দেওয়ার জন্য গোয়েন্দা ব্রিফিং পেয়ে থাকেন।