শনিবার থেকে শুরু হওয়া ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’সহ পুলিশের বিভিন্ন অভিযানে রবিবার দুপুর পর্যন্ত সারাদেশে মোট ১ হাজার ৩ শ’ ৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ সদরদপ্তরের এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) ইনামুল হক সাগর রবিবার সন্ধ্যায় এ তথ্য জানান।
আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে গাজীপুরসহ সারাদেশে যৌথবাহিনীর সমন্বয়ে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ অভিযান চলছে। দুষ্কৃতিকারীদের গ্রেপ্তারের পর বিচারের মুখোমুখি না করা পর্যন্ত ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ চলবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী
উপদেষ্টা রবিবার নগরীর ফার্মগেট এলাকায় মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের নতুন মৃত্তিকা ভবন উদ্বোধনের পর সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে এসব কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, যারা দেশকে অস্থিতিশীল করবে তাদের বিরুদ্ধে এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।
কারা দুষ্কৃতিকারী জানতে চাইলে তিনি বলেন, দেশকে অস্থিতিশীল করে তোলার সাথে যারা জড়িত, আইন অমান্যকারী এবং নৈরাজ্যবাদীরা দুষ্কৃতিকারী।
গাজীপুরে ছাত্র-জনতার ওপর হামলায় জড়িতদের বিরুদ্ধে গৃহীত ব্যবস্থা সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘গাজীপুরে ছাত্র-জনতার উপর হামলাকারীদের অনেককেই আইনের আওতায় আনা হয়েছে। বাকিদের শিগগিরই বিচারের মুখোমুখি করা হবে।’
পাঁচজন ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে উপদেষ্টা বলেন, যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদের অপরাধ দেশবাসীর জানা।
এদিকে যৌথবাহিনীর বিশেষ অভিযান ‘ডেভিল হান্ট’কে স্বাগত জানিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি।
রবিবার বিকালে আমেরিকা থেকে দেশে ফিরে রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নেমে অপেক্ষমান সাংবাদিকদের সামনে দলের অবস্থান পরিষ্কার করেন তিনি।
রবিবার দুপুরে সচিবালয়ে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি বলেছেন, যারা দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করবে তাদের বিরুদ্ধে অভিযান ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’।
তিনি বলেন, দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টাকারীদের আটক করে আইনের আওতায় আনা হবে।
সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি বলেন, ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’-এ মূলত পুলিশ বাহিনী নেতৃত্ব দিচ্ছে, সেনাবাহিনী তাদের সাহায্য করছে।
তিনি বলেন, ছয় মাস আগে ছাত্র-জনতার বিপ্লবের মাধ্যমে স্বৈরাচারী সরকারের পতনের পর দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সারাদেশে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়। সেসময় আমাদের পুলিশ বাহিনীর বেশকিছু ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তাদের নীতিগত ও মানসিক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, থানা পুড়ে গেছে, যে কারণে ‘ইন এইড টু সিভিল পাওয়ার’ সারাদেশে সেনা মোতায়েন রয়েছে।
তিনি আরো বলেন, এই পরিস্থিতিতে কাজ করতে গিয়ে আমরা অনেকগুলো পরিকল্পনা নিই। এর অনেকগুলো চলমান আছে এবং অনেকগুলো প্রয়োগ করতে যাচ্ছি। তার একটা ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’।