বাংলাদেশ থেকে আমেরিকায় পোশাক রপ্তানি বেড়েছে। বাজারের অস্থিরতার মধ্যেও ২০২৪ সালে আমেরিকার পোশাক আমদানিতে কিছুটা হলেও প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ তার অবস্থান ধরে রেখে ২০২৪ সালের জানুয়ারি-ডিসেম্বর সময়কালে আমেরিকায় রফতানি মূল্য ০.৭৩% বৃদ্ধি অর্জন করেছে। ফলে এটি ৭.৩৪ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। এ ছাড়া রফতানির পরিমাণও ৪ দশমিক ৮৬ শতাংশ বেড়েছে।
২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত আমেরিকার পোশাক আমদানির সর্বশেষ তথ্যে বৈশ্বিক পোশাক বাজারে প্রধান সরবরাহকারী দেশগুলোর পারফরম্যান্স দেখানো হয়েছে।
আমেরিকার পোশাক আমদানিতে একটি পরিমিত সামগ্রিক প্রবৃদ্ধি সত্ত্বেও মূল্যে ১.৮২% এবং পরিমাণে ৫.৮৮% বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে গড় ইউনিট মূল্য ৩.৮৩% হ্রাস পেয়েছে, যা প্রতিযোগিতামূলক বাজার ও মূল্য নির্ধারণের ওপর নিম্নমুখী চাপের ইঙ্গিত।
তবে সামগ্রিক বাজার প্রবণতার মতো বাংলাদেশেও ইউনিট দর ৩.৯৪% হ্রাস পেয়েছে, যা মুনাফায় সরাসরি প্রভাব ফেলছে।
অন্যান্য প্রধান পোশাক রফতানিকারক দেশের তুলনায় বাংলাদেশের পারফরম্যান্স ছিল মাঝারি। ভিয়েতনামের মূল্য ৫.৬৭% বৃদ্ধি এবং পরিমাণে ৯.৪৭% বৃদ্ধি পেয়েছে। অন্যদিকে ভারতের মূল্যে ৪.৯৫% এবং পরিমাণে ১৩.০৯% বৃদ্ধি হয়েছে।
কম্বোডিয়ার ক্ষেত্রে মূল্য ১৪.৪৮% এবং পরিমাণ ১৮.৪৫% বেড়েছে। যা বাজারে প্রতিযোগিতামূলক প্রবণতা তুলে ধরে।
অন্যদিকে মেক্সিকো ও কোরিয়া চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। মেক্সিকোর পণ্য আমদানি মূল্যে ৬.৭৮% এবং পরিমাণে ১৫.১৮% হ্রাস পেয়েছে এবং কোরিয়ার ক্ষেত্রে মূল্য ১২.৯৪% এবং পরিমাণ ৫.৫৬% হ্রাস পেয়েছে।
বিজিএমইএ’র সাবেক পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, প্রধান সরবরাহকারীদের তুলনায় বাংলাদেশ আমেরিকায় রপ্তানিতে তুলনামূলকভাবে ধীর প্রবৃদ্ধি দেখিয়েছে। এক্ষেত্রে সমস্যাদি ও প্রতিযোগিতা মোকাবেলায় কৌশলগত উদ্যোগের প্রয়োজন।
তিনি বলেন, ক্রমবর্ধমান বাণিজ্য উত্তেজনা বাংলাদেশের জন্য সুযোগ তৈরি করছে। তবে এই সুযোগগুলো সঠিকভাবে কাজে লাগাতে আমাদের সক্রিয়ভাবে নিজেদের চ্যালেঞ্জ ও সীমাবদ্ধতাগুলো উতরাতে হবে।