রবিবার

,

২০শে এপ্রিল, ২০২৫

গাজায় যুদ্ধবিরতির আশা ৯০ শতাংশ: ইসরায়েল

এটিভি ইউএসএ নিউজ ডেস্ক
ছবি: সংগৃহীত

কাতারের দোহায় হামাসের সঙ্গে জিম্মিদের মুক্তি এবং গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনায় উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইসরায়েলি প্রতিনিধি দলের কয়েক সদস্য। এই অগ্রগতির নমুনা হিসাবে আলোচনায় যোগ দিতে এরিমধ্যে দোহা পৌঁছেছেন মোসাদ প্রধান ডেভিড বার্নিয়া। তবে সংশ্লিষ্টদের ভাষ্য অনুযায়ী, চুক্তির কিছু শর্ত নিয়ে গাজায় বসবাসরত হামাস নেতাদের সঙ্গে একমত হতে পারছেন না প্যালেস্টাইনের বাইরে থাকা হামাস নেতারা।

হামাসের সঙ্গে বন্দি বিনিময় আলোচনার অগ্রগতি হওয়ায় গাজা থেকে সেনা প্রত্যাহারের পরিকল্পনা করছে ইসরাইল। তেল আবিবে প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে, যুদ্ধবিরতি চুক্তি ৯০ শতাংশ নিশ্চিত। আলোচনার জন্য কাতারে প্রতিনিধিও পাঠাচ্ছে তেল আবিব। গাজায় আগ্রাসন চালাতে গিয়ে ইসরাইলের আর্থিক ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়েছে ছয় হাজার ৭০০ কোটি ডলার। যদিও এরমধ্যেই ইসরাইলি আগ্রাসনে একটি শরণার্থী শিবিরে প্রাণ গেছে আট জনের। মানবেতর পরিস্থিতিতে কোনোরকম সেবা দিয়ে যাচ্ছে গাজার হাসপাতালগুলো।

চিকিৎসক সংকটে এত রোগীকে সেবা দেয়াও হয়ে যাচ্ছে কষ্টসাধ্য। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, অন্তত ১২ হাজার ফিলিস্তিনি রোগীকে দ্রুত সরিয়ে নেয়া প্রয়োজন।

ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, যেভাবে উপত্যকার হাসপাতালগুলো জ্বালানি আর চিকিৎসা সরঞ্জাম সংকটে ধুঁকছে, তাতে কিছুদিনের মধ্যেই পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যেতে পারে স্বাস্থ্যসেবা। উপত্যকায় ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনী জ্বালানি প্রবেশ করতে না দেয়ায় কয়েকটি হাসপাতাল তো আংশিক বন্ধই হয়ে গেছে। জাতিসংঘ বলছে, এখানকার হাসপাতালগুলো মৃত্যুফাঁদ হয়ে যাচ্ছে।

একদিকে গাজা উপত্যকায় আগ্রাসন, অন্যদিকে বন্দি বিনিময়ের শর্তসাপেক্ষে যুদ্ধবিরতি আলোচনা, এভাবেই প্রায় দেড় বছর ধরে চলছে হামাস–ইসরাইল যুদ্ধ।

অন্যদিকে হামাসও ঘোষণা দিয়েছে ইসরাইলের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি কার্যকরের খসড়া প্রস্তাব প্রস্তুত। এখন শুধু তেল আবিবের সহিংসতা বন্ধের অপেক্ষা। তবে এই বিষয়ে এখনও মুখ খোলেনি মধ্যস্থতাকারী মিশর, কাতার কিংবা আমেরিকা। বিভিন্ন গণমাধ্যম বলছে, ২০ জানুয়ারি ডোনাল্ড ট্রাম্পের হোয়াইট হাউজে প্রত্যাবর্তনের আগেই যুদ্ধবিরতিতে আসতে চায় হামাস-ইসরাইল।

গাজার যুদ্ধ ইসরাইলের জন্য বেশ ব্যয়বহুল হয়ে যাচ্ছে। ২০২৪ সালের শেষ পর্যন্ত তেল আবিবের খরচ হয়েছে ছয় হাজার ৭০০ কোটি ডলার।

ইসরাইলি বিভিন্ন গণমাধ্যম বলছে, যুদ্ধে অর্থ ব্যয়ের কারণে চাপ পড়ছে ব্যাংক অব ইসরাইল, সামরিক খাত, নাগরিকদের স্বার্থে ব্যয়ের ওপর। রাজস্ব আয়ে হচ্ছে লোকসান।