আমেরিকার নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের প্রস্তুতি নিচ্ছেন, এমন ঘোষণা দিয়েছেন।
এএফপি জানায়, ফ্লোরিডার পাম বিচে তার মার-এ-লাগো রিসোর্টে রিপাবলিকান গভর্নরদের সাথে এক বৈঠকে ট্রাম্প বলেন, তিনি বৈঠক করতে চান এবং সেটির ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
পুতিন দেখা করতে চান উল্লেখ করে ট্রাম্প বলেন, প্রেসিডেন্ট পুতিন প্রকাশ্যেও তা বলেছেন।
তিনি আরো বলেন, তালগোল পাকানো রক্তাক্ত এই যুদ্ধের অবসান ঘটাতে হবে।
ট্রাম্প তার নির্বাচনী প্রচারণার সময় প্রথম থেকেই রাশিয়ার আগ্রাসনের শিকার ইউক্রেনে শান্তি ফিরিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দেন এবং তিনি দায়িত্ব গ্রহণের মাত্র দেড় সপ্তাহ আগে এই বৈঠকের কথা জানালেন।
যুদ্ধবিরতি বা শান্তি চুক্তির জন্য কোনো সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব না দিলেও ট্রাম্প প্রায়শই কিয়েভে বিপুল পরিমাণ সামরিক সহায়তা পাঠানো জন্য বাইডেন প্রশাসনের সমালোচনা করেছেন।
জর্জিয়ায় এক নির্বাচনী প্রচারণায় ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে ‘সবচেয়ে বড় বিক্রেতা’ বলে উপহাসও করেছেন ট্রাম্প। পাশাপাশি তিনি ক্রেমলিন নেতা পুতিনের সমালোচনা করে ওয়াশিংটনে ভ্রু কুঁচকেছেন আবার তার প্রশংসাও করেছেন।
প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের অধীনে ইউক্রেনে প্রেরিত বিশাল সামরিক সহায়তার সমালোচনা করার পাশাপাশি, ট্রাম্প পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোতে আমেরিকার অব্যাহত অংশগ্রহণ নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন।
ইউক্রেনের সবচেয়ে বড় যুদ্ধকালীন সমর্থক আমেরিকা, বাইডেনের অধীনে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে ৬৫ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি মূল্যের সামরিক সহায়তা প্রদান করে আসছে।
আগামী ২০ জানুয়ারি দ্বিতীয় মেয়াদে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেবেন। এমতাবস্থায় হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের প্রত্যাবর্তন ইউক্রেনে মস্কোর দখলদারিত্ব বন্ধ করার জন্য একটি কূটনৈতিক সমাধানের আশা জাগিয়ে তুলেছে।
আমেরিকা ও রাশিয়া বহু দিন ধরেই একে অপরের সঙ্গে শীতল সম্পর্ক বজায় রেখেছে। ঠিক এই সময়ে দুই পক্ষের এই সাক্ষাতের খবর বেশ খানিকটা বিস্ময়ের জন্ম দিয়েছে।
এখানেই শেষ নয়। ট্রাম্প জানান, পুতিন ছাড়াও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠকের জন্যও প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।